হাতিয়ায় এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠায় বিচারের দাবিতে শিার্থীরা মানববন্ধন করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ১০ নং জাহাজমারা ইউনিয়নে জাহাজমারা উচ্চ বিদ্যালয়ে।
আজ শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে স্থানীয় জাহাজমারা বাজারের প্রধান সড়কে মৌন মিছিল ও সড়কের দু পাশে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করে। এসময় তারা অভিযুক্ত শিক্ষককে বিদ্যালয় থেকে অপসারণ করার দাবি জানায়।
বিদ্যালয়ের শিার্থী ও স্থানীয়রা জানান, গত ১৯ রমজানে গণিত বিষয়ের উপর প্রাইভেট পড়তে এসে নবম শ্রেণির ছাত্রী একই বিদ্যালয়ের শিক মিল্টন চন্দ্র দাসের হাতে যৌন হয়রানির শিকার হয়। ঐ ছাত্রী বিষয়টি প্রথমে তার বাবা মিরাজ উদ্দিনকে বললে তিনি প্রধান শিক সোলাইমানকে জানালে তিনি এ অপরাধে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশ্বাস দেন। কিন্তু তিনি কোন ব্যবস্থা না নিয়ে অভিযুক্ত শিকের কাছ থেকে মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে তা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। তাছাড়া প্রধান শিক আবু সোলাইমানের বিরুদ্ধে নারী কেলেংকারি, সমিতি নামে ব্যবসা করা, বিদ্যালয়কে রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ীক সভা, মেটিং করাসহ একাধিক অভিযোগ আছে বলেও তারা জানান।
অপরদিকে অভিযুক্ত গণিত শিক মিল্টন চন্দ্র দাসের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া যায়নি।
এদিকে ঘটনাটি পুরো এলাকায় জানাজানি হলে ঐ বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থী ও এলাকার সচেতন লোকজন অভিযুক্ত শিকের বিরুদ্ধে তার অপকর্মের বিচার চেয়ে মানববন্ধন করে।
এব্যপারে জাহাজমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক আবু সোলাইমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ছাত্রীর বাবা মিরাজ উদ্দিন বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে। আমরা অভিযুক্ত শিক্ষক মিল্টন চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এদিকে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান শিকদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন , এঘটসায় শিক্ষকদের মধ্যে বৈঠক চলছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার