নীলফামারীর সৈয়দপুরে মো. সুমন নামে এক বন্ধুকে হত্যা করে নদীতে ফেলে দিয়ে বন্ধুর ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা নিয়ে পালানোর সময় দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হল-মো. আনারুল ও মো. রবিউল ইসলাম। দিনাজপুরের বীরগঞ্জ থেকে তাদের আটক করা হয়।
নিহত মোঃ সুমন (১৯) নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলার বেদতলাগাড়ী ইউনিয়নের উত্তর সোনাখুলী গ্রামের মোঃ বকুলের ছেলে।
আটক মোঃ আনারুল (১৮) নীলফামারীর কাশিরাম ইউনিয়নের পশ্চিম বেলপুকুর গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে এবং মোঃ রবিউল ইসলাম (২৫) একই এলাকার বেদতলাগাড়ী ইউনিয়নের উত্তর সোনাখুলী মাল্লীপাড়া গ্রামের মৃত জয়বার আলীর ছেলে (২৫)।
বীরগঞ্জ থানার এসআই মোঃ আল-আমীন জানান, দিনাজপুরের বীরগঞ্জের সাতোর ইউনিয়নের দিনাজপুর-পঞ্চগড় মহাসড়কের দলুয়া নামক স্থানে দায়িত্ব পালনকালে শনিবার রাত ১টায় একটি ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সাকে থামার নির্দেশ দেই। কিন্তু সে নির্দেশ অমান্য করে পালিয়ে যাবার চেষ্টা চালালে তাকে ধাওয়া দিয়ে চালক এবং একজন যাত্রীকে আটক করা হয়। তাদের কথাবার্তা সন্দেহজনক মনে হলে থানায় নিয়ে আসি। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদে আটো চালকের নাম মোঃ আনারুল ও যাত্রীর নাম মোঃ রবিউল ইসলাম এবং তাদের বাড়ী নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরে বলে জানান। গভীর রাতে অটো নিয়ে তাদের গন্তব্য নিয়ে দুজন এলোমেলো তথ্য প্রদান করে।
বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হলে অটোরিক্সাটি তল্লাশী চালানোর সময় দেখা যায় অটোরিক্সার গায়ে সুমন এন্টারপ্রাইজ লেখাটির উপরে ষ্টিকার লাগানো রয়েছে। এতে আমাদের সন্দেহ আরো গভীর হয়। পরে তাদের আবার জিজ্ঞাসাবাদে রবিবার সন্ধ্যার দিকে হত্যার কথা স্বীকার করে। তারা হত্যার পরে অটোরিক্সা নিয়ে ঠাকুগাঁয়ের পথে রওয়ানা দেয়।
বীরগঞ্জ থানার ওসি মোছাঃ শাকিলা পারভীন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদে আটক মোঃ আনারুল এবং মোঃ রবিউল ইসলাম অটোরিক্সার মালিক সুমনকে হত্যা করে অটো রিক্সা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করে। পরে বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে সৈয়দপুর থানাকে অবহিত করা হয়। যেহেতু ঘটনার স্থান সৈয়দপুরে সে কারণে রাতে আটকদের সৈয়দপুর থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।