বগুড়ার আদমদীঘিতে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে গ্রাম্য সালিসে ৩ লাখ টাকা দাবি করা হয়েছে। বিচারে এক লাখ টাকা আদায় করার পর আরো দুই লাখ টাকা দাবি করে মাতব্বরা। দাবিকৃত টাকা দিতে না পারায় অভিযুক্ত যুবকের ঘর থেকে গরু ও ধান জোর করে বের করে নিয়ে আসে মাতব্বররা।
এ ঘটনায় আজ বুধবার সকালে বগুড়ার আদমদিঘি থানায় মামলা দায়ের করা হলে থানা পুলিশ দুই দাতব্বরকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- আদমদিঘি উপজেলার দমদমা গ্রামের লুৎফর ওরফে নান্দু মাতবর ও স্বপন মাতবর।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বগুড়ার আদমদিঘি উপজেলার দমদমা গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে সুমন আলীর সঙ্গে একই গ্রামের এক গৃহবধূর অনৈতিক সর্ম্পকের অভিযোগ তোলা হয়। এ ঘটনায় ২০ জুন বিকেলে আব্দুস ছামাদের বাড়ির আঙ্গিনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য মারফুল হাসান ওরফে শিপলু, স্থানীয় মাতবর মিজানুর রহমান, স্বপন আলী, এজাফফর, লুৎফর ওরফে নান্দু আলীর নের্তৃত্বে এক শালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে অভিযুক্ত সুমনের অনুপস্থিতে তার বাবা ইউনুস আলী ও তার মা এবং ওই গৃহবধূকে হাজির করা হয়। শালিস বৈঠকে সুমনকে জোরপূর্বক দোষী সাব্যস্ত করে এক লাখ টাকা জরিমানা এবং গৃহবধূকে তালাক দেয়ার সিদ্ধান্ত দেয়া হয়। এরপর জরিমানা টাকা আদায়ের জন্য অভিযুক্ত সুমনের বাবা ইউনুস আলীর বাড়ি থেকে একটি গাভী ও ঘর থেকে কয়েক মণ ধান বের করে আনে মাতবররা। এছাড়াও আরো দুই লাখ টাকা জরিমানার দিতে হবে উল্লেখ করে ইউনুস আলীকে চাপ দিতে থাকে মাতবররা।
এ ঘটনায় আদমদিঘির সান্তাহার হঠাৎপাড়ার বাসিন্দা গৃহবধূর বাবা বাদি হয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মারফুল হাসান ওরফে শিপলুসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন।
বগুড়ার আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু সায়িদ মো. ওয়াহেদুজ্জামান জানান, এই ঘটনায় দুই মাতবরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলা দায়ের হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার