বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় সুন্দরবন উপকূলে সাউথখালীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৫/১ পোল্ডারের প্রায় দেড় কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আজ বুধবার ভোর রাতে বেড়িবাধ ভেঙে ৮টি গ্রামে আমনের বীজতলা, কয়েকশত পুকুর ও মাছের ঘের তলিয়ে গেছে।
বাড়িঘরে জোয়ারের পানি উঠানামা করেছে। আকষ্মিকভাবে বাধের বিভিন্ন অংশ ভেঙে সুপার সাইক্লোন সিডর উপদ্রুত এলাকা সাউথখালী ইউনিয়নের বগি, গাবতলা, চালিতাবুনিয়া, খুড়িয়াখালী, সোনাতলা, তাফালবাড়ী, উত্তর ও দক্ষিণ সাউথখালী গ্রামের কয়েক হাজার পরিবারের বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়ায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এলাকাবাসী জানান, বুধবার ভোর রাতে উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের বলেশ্বর নদীসংলগ্ন বগী থেকে গাবতলা আশার আলো মসজিদ পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার পাউবোর বাধ সম্পূর্ণ নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। জোয়ারের পানি এখন ওই ইউনিয়নের ৮টি গ্রামে ওঠানামা করছে। ফলে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। আমনের বীজতলা, কয়েক শত পুকুর ও মাছের ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। বাড়িঘরে পানি ওঠানামা করছে।
শরণখোলার বগী গ্রামের জলিল খলিফা, রউফ হাওলাদার, মিজানুর রহমান, আ. রাজ্জাক জানান, জমিতে অনেকে আমনের বীজধান ফেলেছে। আবার অনেকে বীজধান ভিজিয়ে রেখেছে। কিন্তু এখন জোয়ারের পানিতে ধানখেত তলিয়ে গেছে। কয়েক শত পুকুর ও মাছের ঘের প্লাবিত হয়ে কোটি-কোটি টাকার মাছে বেরিয়ে গেছে। পানিতে ধান খেত তলিয়ে যাওয়ায় বীজতলা তৈরী অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় আমন চাষ নিয়ে কৃষকরা শঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
সাউথখালীর তাফালবাড়ী স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক আ. মালেক রেজা জানান, পাউবোর ৩৫/১ পোল্ডারের বাঁধের কাজ মূল অংশে না করে কম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাকে অগ্রাধিকার দেয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
সাউথখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোজাম্মেল হোসেন জানান, ভাঙ্গন ঠেকাতে ও ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে বাধ না দিলে এলাবাসীর চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিংকন বিশ্বাস জানান, ভাঙ্গন ঠেকাতে ও ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় জরুরী ভিত্তিতে বাঁধ নির্মাণে পদক্ষেপ নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে।
শরণখোলার নির্মানাধীণ বাধের তদারকির দায়ীত্বে নিয়োজিত প্রকৌশলী শ্যামল দত্ত জানান, ভাঙন কবলিত এলাকায় রিং বাঁধ দিয়ে সাময়িকভাবে রাক্ষা করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার