'আমি এখন ফাঁসি নিয়ে আত্মহত্যা করবো। আমার মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে সন্ত্রাসীদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাবো।' আত্মহত্যার পূর্বে নাজমুল আহাম্মেদ নিহাত নামের এক স্কুলছাত্র তার ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার থেকে স্যুইট নামের একটি আইডিতে এসব কথা লিখে গেছেন। আজ ভোর রাতে পৌর শহরের দত্তপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে এ ঘটনায় হত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে নিহতের বাবা ৫ জনকে আসামি করে সদর থানায় হত্যার অভিযোগ দায়ের করেছেন। নাজমুল আহাম্মেদ নিহাত (১৪) দত্তপাড়া এলাকার কবির আহাম্মেদের ছেলে। সে নরসিংদী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণির ছাত্র।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ঈদের দুই দিন পর বিকেলে নিহাত তার বন্ধুদের নিয়ে পাশের বাড়িতে বারবি কিউ পার্টি করতে যায়। একই সময় ওই এলাকার তুষার, জুম্মান রাব্বি, রুপক সেখানে যায়। নিহাত তাদের চলে যেতে বললে তারা রাজি হয়নি। পরে বাড়ির মালিক সবাইকে ছাঁদ থেকে নামিয়ে দেয়। এতে নাজমুল আহাম্মেদ নিহাতের উপর ক্ষিপ্ত হয় তারা। এরই জের ধরে নিহাতকে মারপিট করেন অভিযুক্তরা। খবর পেয়ে নিহাতের মা-বাবা ও দাদা-দাদি সেখানে গেলে অভিযুক্তরা তাদের সবাইকে এলোপাথারী মারপিট করেন।
এ ঘটনার পর আজ ভোরে আত্মহত্যার পূর্বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকের ম্যাসেঞ্জারে স্যুইট নামের একটি আইডিতে মেসেজ দিয়ে তিনি লেখেন, 'আমি এখন ফাঁসিতে ঝুলবো। কারণ তারা আমাকে মার্ডার করে ফেলবে। সন্ত্রাসীরা আমার আব্বুকেও অপমান করেছে। আমার মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে সন্ত্রাসীদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাবো। দেখা হবে কবরে। '
নিহাতের বাবা কবির আহাম্মেদ বলেন, সন্ত্রাসী তুষার, জুম্মান রাব্বি, রুপক আমার ছেলেকে মারধর করছিল। খবর পেয়ে আমি ও আমার মা বাবাসহ পরিবারের লোকজন তাকে বাঁচাতে গেলে সন্ত্রাসীরা আমাদের সবাইকে মারপিট করে। এই অপমান সইতে না পেরে নিহাত আত্মহত্যা করেছে। তার মৃত্যুর জন্য ওই সন্ত্রাসীরাই দায়ী। আমি এর বিচার চাই।
নরসিংদী শহর ফাঁড়ির এসআই মিজানুর রহমান বলেন, নিহাতের জানাজা শেষে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে পরিবার। তাছাড়া এ ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।
বিডি প্রতিদিন/২৮ আগষ্ট ২০১৮/হিমেল