পাওনা টাকা না পাওয়ায় পুঁজির অভাব, নির্ধারিত বেধে দেয়া দর, শ্রমিক মজুরি ও লবণের দাম বৃদ্ধির কারণে দিনাজপুরের ব্যবসায়ীরা এ বছর লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক চামড়াও সংগ্রহ করতে পারেননি। বাইরের দেশে চামড়ার দাম বেশি হওয়ায় চামড়া পাচার হওয়ার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
এ অবস্থায় চামড়া মালিক গ্রুপের নেতারা সরকারের কাছে চামড়া শিল্প রক্ষা এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা চেয়েছেন।
উত্তরাঞ্চলের অন্যতম বৃহত্তম চামড়ার বাজার দিনাজপুরের রামনগরে বিভিন্ন অঞ্চলের ছোট-বড় ও মৌসুমী ব্যবসায়ীরা শহর-গ্রাম থেকে কেনা চামড়া বিক্রি করতে আসেন। কিন্তু এ বছর চামড়ার বাজারে ক্রেতা থাকলেও দামের কারণে রামনগর বাজারে চামড়া বিক্রয় করতে আসেননি খুচরা ব্যবসায়ীরা। মৌসুমী ব্যবসায়ীরা লাভের আশা করলেও আড়ৎদাররা লোকসানের ভয়ে বেশি দামে চামড়া কিনছেন না।
এক চামড়া ব্যবসায়ী বলেন, খুব দুশ্চিন্তায় আছি। এখন এই চামড়া আমরা বিক্রি করতে পারবো কিনা; লাভ হবে না, লোকসান হবে সেটা বুঝতে পারছি না।
দিনাজপুর চামড়া ব্যবসায়ী মালিক গ্রুপের সভাপতি জুলফিকার আলী স্বপন জানান, প্রতিবছর কোরবানির ঈদে দিনাজপুর রামনগর বাজারে লক্ষাধিক চামড়ার কেনাবেচা হলেও এ বছর গরুর ২০ হাজার পিস এবং ছাগলের ১৫ হাজার পিস চামড়া কিনতে পেরেছেন ব্যবসায়ীরা। তবে এখনও ১০/১২ দিন কেনাবেচা চলবে।
তিনি আরও বলেন, চামড়া শিল্পে সরকারের নজর দেয়া দরকার। আমরা টাকার নিশ্চয়তা চাই। ঠিক মতো টাকা লেনদেনের নিশ্চয়তা পেলে চামড়া শিল্পটা বাঁচবে। নইলে ধ্বংস হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, ঢাকায় চামড়া পাঠানোর জন্য এই আড়তে রয়েছেন প্রায় ৩০-৪০ জন ব্যবসায়ী। আর কাঁচা চামড়া লবণ দিয়ে প্রক্রিয়াজাতকরণসহ বিভিন্ন কাজের সাথে জড়িত প্রায় দেড় শতাধিক শ্রমিক। দিনাজপুরের রামনগরে রয়েছেন দুই শতাধিক চামড়া ব্যবসায়ী।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম