এক সময় বিএনপির বড় নেতাদের পদচারণায় মুখরিত ছিল সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা। কিন্তু এখন আর সেই দাপট নেই। অভ্যন্তরীণ কোন্দল আর ক্ষমতাসীন দলের সাথে লবিংয়ে ভেঙে পড়েছে বিএনপি। তাছাড়া মামলা, হামলাসহ গ্রেফতার আতঙ্কে ভূগছে অধিকাংশ নেতাকর্মীরা। সেই সাথে ছাত্রদলের নেতারাও রয়েছেন নিষ্ক্রিয়।
অনেকেই আবার কারাগারে দিন কাটাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ বাড়ি-ঘর ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছে অজানার উদ্দেশ্যে। তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা জানেন না নেতাদের অবস্থান। এতে তারা ক্রমেই হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে।
নিজ নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে অনেকেই দিশেহারা। এমন অনেক এলাকা আছে যেখানে একাধিক গ্রুপে বিভক্ত হয়ে নিজেরাই নিজেদের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দলীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে মামলার আসামি হয়ে পলাতক জীবন ও নিপীড়িত নেতাদের কাঁধে ভর করে টিকে আছে পুরো উপজেলা বিএনপি।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আস্থাভাজন ও কেন্দ্রয়ি বিএনপির প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব মামলা-হামলার ভয়ে দীর্ঘদিন আত্মগোপনে রয়েছেন। উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামের মৃত্যুর পর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয় আব্দুর রকিব মোল্লাকে, কিন্তুু তিনিও হামলা-মামলার ভয়ে নিষ্ক্রিয়। ইতোমধ্যে তিনি প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি হামলা মামলায় জেল খেটে জামিনে রয়েছেন।
এছাড়া দলের সাংগঠনিক সম্পাদক তামিম আজাদ মেরিন, পৌর মেয়র আক্তারুল ইসলামসহ একাধিক শীর্ষ নেতা জেল খেটে বেড়িয়েছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্জ বজলুর রহমান বলেন, প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ায় ও মামলা হামলাসহ গ্রেফতারের ভয়ে কেউ আর মাঠে নামতে চায় না।
বিডি প্রতিদিন/২ সেপ্টেম্বর ২০১৮/হিমেল