কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি ভবনের পাশের ড্রেন থেকে নবজাতক এক কন্যা শিশু কুড়িয়ে পেয়েছে আয়া জোৎসনা বড়ুয়া। শিশুটি বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তার কাছে রয়েছে। আজ রবিবার সকালে কম্বল মোড়ানো অবস্থায় নবজাতক কন্যা শিশুটিকে পাওয়া যায়।
জোৎসনা বড়ুয়া জানান, আজ রবিবার সকালে ঘুম থেকে উঠে পুজা দিতে ফুল তুলতে গেলে শিশুর কান্না শুনতে পায়। সামনে গেলে কম্বল মোড়ানো অবস্থায় ড্রেনে শিশটিকে দেখতে পায়। কন্যা শিশুটির আশেপাশে কারো সন্ধান না পেয়ে দ্রুত কুঁড়িয়ে কোলে নিয়ে পিপঁড়াগুলো পরিষ্কার করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাকে চিকিৎসা দেন। তবে শিশুটি অসুস্থ। গায়ের রং র্ফসা। শুধু কান্না করছে। দুধ কিনে শিশুটিকে খাওয়ানো হয়েছে। সম্ভবত ভোর রাতের শিশুটিকে ওই ভবনের ড্রেনের মধ্যে ফেলে রেখে যায়।
তিনি বলেন, আজ থেকে আমার চার সন্তান। তাকে সমাজের আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাবো।
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আতাউর রহমান জানান, ওই শিশুটি নিউমোনিয়া রোগী আক্রান্ত হওয়াই তাকে চিকিৎসা দিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানায়, গত শনিবার সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত এ হাসপাতালে তিনজন গভবর্তী মা শিশু সন্তান জন্ম নিয়েছে। এরমধ্যে দু'টি ছেলে শিশু এবং রাতে জন্ম নেওয়া অপরটি কন্যা শিশু। তবে রাত সাড়ে নয়টার দিকে হাসপাতালে সাবরাং ইউপির শাহপরীর দ্বীপের রুজিনা আক্তার (২০) নামে এক নারীর সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য ভর্তি হয়। হাসপাতালের রেজিষ্টার্ড বইয়ে ওই রোগীর স্বামী আক্তার হোসেন নাম লিখা আছে। তবে সন্তান জন্মের পর ওই নারীর হাসপাতালের কাউকে কিছু না বলে চলে গেছেন। তবে জন্মের পর সরকারিভাবে শিশুটিকে যেসব কাপড় দেওয়া হয়েছিল সেগুলো কুঁড়িয়ে পাওয়া শিশুর গায়ে পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচেছ, হাসপাতালে জন্ম নেওয়া শিশুটিকে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক এনামুল হক জানান, এ ধরনের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচেছ বলে জানিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার