স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় জরিপের তথ্য মতে, বাংলাদেশে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর হার উদ্বেগজনক। এমন বাস্তবতায় পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু রোধে পাবনার চাটমোহরে একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে ৪ দিনব্যাপী বিনামূল্যে সাঁতার প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে এই সাঁতার প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন পাবনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলা চেয়ারম্যান হাসাদুল ইসলাম হীরা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার অসীম কুমার, সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার তাপস কুমার পাল, পৌর মেয়র মির্জা রেজাউল করিম দুলাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত বক্তব্য দেন, চেতনায় চাটমোহরের স্বমন্ময়ক জেমান আসাদ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ভিত্তিক সংগঠন ‘চেতনায় চাটমোহর’ উদ্যোগে আজ সোমবার থেকে ৪দিনব্যাপী এই সাঁতার প্রশিক্ষণ শুরু হয়। চাটমোহর উপজেলা পরিষদের পুকুরে শুরু হওয়া এই সাঁতার প্রশিক্ষণ চলবে আগামী বৃহস্পতিবার (৬ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত।
চাটমোহর ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সহযোগিতায় চাটমোহর উপজেলা পরিষদের পুকুরে শুরু হওয়া এই সাঁতার প্রশিক্ষণ চলবে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। চারদিনে দুই শতাধিক শিশুকে সাঁতার প্রশিক্ষণ দেয়া হবে বলে জানান আয়োজকরা।
জেমান আসাদ জানান, শিশুদের পানি ভীতি কাটানো ও অভিভাবকদের সচেতন করার প্রয়াস হিসেবে এই সাঁতার প্রশিক্ষণের আয়োজন। চাটমোহর চলনবিলের একটি অংশ। এখানে প্রতিবছর বন্যা হয় এবং অনেক শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। আমাদের চিন্তাটা মূলত এখান থেকেই। শিশু মৃত্যুর হার কমাতেই এই উদ্যোগ।
এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অভিভাবক ও অংশ নেয়া শিশুরা।
কয়েকজন শিশু ও তাদের অভিভাবকরা জানান, চেতনায় চাটমোহর যে উদ্যোগ নিয়েছে তা সত্যি প্রশংসনীয়। গত বছরের মতো এবারও প্রশিক্ষণের আয়োজন করায় সংশ্লিষ্টদের সাধুবাদ জানাই। এর মাধ্যমে অনেক শিশু সাঁতার শিখতে পারবে।
চাটমোহর ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স এর ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, সাঁতার শেখা সবার জন্যই প্রয়োজন। নিজের ও শিশুর জীবন বাঁচাতে সাঁতার শেখার কোনো বিকল্প নেই। আমরা সবসময় মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়াই, চেতনায় চাটমোহরের এই উদ্যোগের পাশে আমরা আগেও ছিলাম, এখনও আছি।
চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার অসীম কুমার বলেন, এই উদ্যোগকে কিভাবে আরো তৃণমূলে ছড়িয়ে দেয়া যায় সে প্রচেষ্টা আমাদের থাকবে। কারণ ইউনিয়ন পর্যায়ে অনেকে আছে যারা সাঁতার জানে না। তাই উপজেলা পরিষদ বা উপজেলা প্রশাসন থেকে সহায়তা দিয়ে এই কার্যক্রমকে গতিশীল করা গেলে উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়বে।
বিডি-প্রতিদিন/ ই-জাহান