ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেককে ১টি বিদেশি পিস্তল, ২০ রাউন্ড গুলি ও ১০ ককটেলসহ গ্রেফতার করেছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
আজ সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে শহরের কচাতলা নামকস্থান থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
অন্যদিকে জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি মশিউর রহমান সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে জানান, গ্রেফতারকৃত আব্দুল মালেকের কাছে কোন অবৈধ অস্ত্র ছিল না। সে নিজের লাইসেন্সকৃত অস্ত্র থানায় জমা দিতে গিয়েছিল। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আব্দুল মালেককে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় তিনি জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সেই সাথে অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি করেন।
সদর থানার ওসি শেখ ইমদাদুল হক জানান, বিকালে ঝিনাইদহ শহরেরর কচাঁতলা নামকস্থানে আব্দুল মালেক দলীয় নেতাকর্মী নিয়ে নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। এ সময় পুলিশ বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে শহরের পৌর এলাকার আদর্শপাড়ার কচাঁতলা নামকস্থানে অভিযান চালায়। ওইস্থান থেকে পুলিশ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক ও আলি আহমেদ নামের এক বিএনপি কর্মীকে আটক করা হয়। পরে আব্দুল মালেকের স্বীকারোক্তি মোতাবেক ১টি বিদেশি পিস্তল, ২০ রাউন্ড গুলি ও ১০টি ককটেল উদ্ধার করা হয়।
অন্যদিকে আটককৃত জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের স্ত্রী রিজিয়া খাতুন দাবি করেন, আমার স্বামী তার লাইসেন্সকৃত রিভলবার ও ২০ রাউন্ড গুলি আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে জমা দেওয়ার জন্য দুপুরে সদর থানায় গেলে পুলিশ তাকে আটক করে ও অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার দেখায়।
বিডি-প্রতিদিন/ ই-জাহান