পাবনা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি, বৈশাখী টেলিভিশন ও দৈনিক সংবাদের স্টাফ রিপোর্টার হাবিবুর রহমান স্বপনের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে সাংবাদিকরা। আজ সাকেল পাবনা প্রেসক্লাবের সামনে এই কর্মসূচি পালিত হয়। এতে শতাধিক সাংবাদিক সাংস্কৃতিক কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে সাংবাদিকরা দাবি করেন, পাবনা বর্তমানে সাংবাদিকদের জন্যে ঝুঁকিপূর্ণ জেলা, একের পর এক সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনা ঘটছে।
স্থানীয় দৈনিক পাবনা প্রতিদিনের প্রধান সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল ইসলাম রবির সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন, পাবনা সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি আব্দুল মতীন খান, পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সম্পাদক এবিএম ফজলুর রহমান, উৎপল মির্জা, আহমেদ উল হক রানা, পাবনা রিপোর্টার্স ইউনিটির সম্পাদক কাজী বাবলা, পাবনা টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিক সমিতির সাধারন সমপাদক সৈকত আফরোজ আসাদ, দৈনিক জনকন্ঠের কৃষ্ণ ভৌমিক, দৈনিক সিনসা সম্পাদক মাহবুব আলম, দৈনিক পাবনার খবর সম্পাদক এমজি বিপ্লব চৌধুরী, এটিএন নিউজের রিজভী জয়, একাত্তর টিভির রাসেল রহমান প্রমুখ।
বক্তারা সাংবাদিকদের জন্যে দেশের মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান পাবনা বলে আখ্যায়িত করেন। একের পর পাবনা সাংবাদিকরা হামলার স্বীকার হলেও প্রশাসন নির্বিকার রয়েছে। অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও দাবি জানান তারা।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌত কুমার বিশ্বাস বলেন, সিনিয়র সাংবাদিক হাবিবুর রহমান স্বপনের উপর হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনার জন্যে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট গত রাত থেকেই মাঠে কাজ করছেন। আমরা আশাকরি খুব দ্রুত তাদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।
প্রসঙ্গত, শনিবার রাত দশটার দিকে প্রেসক্লাব থেকে রিকশাযোগে শহরের কফিল উদ্দিন পাড়ায় ভাড়া বাসায় ফিরছিলেন সাংবাদিক হাবিবুর রহমান স্বপন। পথিমধ্যে সেবা হাসপাতালের সামনে পৌঁছামাত্র একটি মোটরসাইকেলে হেলমেট পরিহিত তিনজন আরোহী রিকশার গতিরোধ করে তাকে রড ও জিআই পাইপ দিয়ে এলোপাথারী মারপিট করে। এতে তার মাথা ফেটে যায় এবং বাম হাত ভেঙ্গে যায়। চিৎকারে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তার উন্নত চিকিৎসার জন্যে রাতেই তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
বিডি প্রতিদিন/১৪ অক্টোবর ২০১৮/হিমেল