পাহাড়ে আইন-শৃঙ্খলা সুষ্ঠু থাকলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন, রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সৈয়দ রিয়াদ মেহমুদ। তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা ও অর্থনৈতিক অবকাঠামো উন্নয়ন একটা আর একটার সাথে সম্পৃক্ত। তাই পার্বত্যাঞ্চলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অবকাঠামো তৈরি করা গেলে সন্ত্রাসবাদ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। এসব বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে। এ প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্য হলো পাহাড়ে বৈষম্য দূর করা। পাহাড়ি-বাঙালীদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক মিলবন্ধন রচনা করা। সাম্প্রদায়িক প্রতিহিংসা না থাকলে, বৈষম্য থাকবে না। আর বৈষম্য নাথকলে পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
আজ রবিবার বিকাল ৩টায় রাঙামাটি সেনাবাহিনী রিজিয়নের সহায়তায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট মিলানায়তনে আয়োজিত আন্তঃ স্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতায় পুরুস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সৈয়দ রিয়াদ মেহমুদ এসব কথা বলেন।
এসময় রাঙামাটি ডিজিএফআই কমান্ডার কর্ণেল মো. শামসুল আলম, রাঙামাটি সেনা জোনের কমান্ডার লে. কর্ণেল মো. রেদুওয়ান ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
রাঙামাটি ডিজিএফআই কমান্ডার কর্ণেল মো. শামসুল আলম বলেন, পাহাড়ে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করে। প্রত্যান্ত অঞ্চলগুলোতে এখনো ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও বাঙালীরা এক সাথে বসবাস করে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে বড় বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাহাড়ি-বাঙালী শিক্ষার্থীরা এক সাথে বসে না। যেখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাহাড়ি-বাঙালী শিক্ষার্থীরা এক সাথে বসে না, সেখানে কিভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে। যতদিন পর্যন্ত সবার মধ্যে সম্প্রীতির জাগ্রতবোদ প্রতিষ্ঠা নাহবে, ততদিন পর্যন্ত পাহাড়ে কোন উন্নয়ন ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব না।
তিনি বলেন, সত্যিকার অর্থে পাহাড়ে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও বাঙালীদের মধ্যে ঘৃণার জিনিসটা নেই। এখানে অদৃশ্য ছায়া শক্তি কাজ করে। সে অদৃশ্য শক্তি সন্ত্রাস, প্রতিহিংসা তৈরি করছে। যার কারণে পাহাড়ে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
আন্তঃ স্কুল বিতর্ক প্রতিয়োগিতায় রাঙামাটির ১৬টি বিদ্যালয়ের ৮০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। দিনব্যাপী আন্তঃ স্কুল বিতর্ক প্রতিয়োগিতায় পর চুড়ান্ত পর্যায়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতার মূল প্রতিপাদ্য ছিলো- ‘অর্থনৈতিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নই পারে পাহাড়ে সন্ত্রাস মুক্ত করতে। এতে সরকারি দলে ভূমিকায় ছিল, রাঙামাটি লেকার্স পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ এবং বিরোধী দলের ভূমিকায় ছিল, রাঙামাটি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এ প্রতিযোগিতায় প্রস্ত স্থান অধিকার করেন, রাঙামাটি লেকার্স পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা।
পরে বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করেন রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সৈয়দ রিয়াদ মেহমুদ ও রাঙামাটি ডিজিএফআই এর কর্ণেল মো. শামসুল আলম।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার