বরিশাল নগরীর কাশীপুরে সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজছাত্রী ইয়াসমিনকে হত্যার চেষ্টা চালানোর অভিযোগ উঠেছে তালাকপ্রাপ্ত স্বামীর বিরুদ্ধে।সোমবার রাতে আহত হামলায় আহত ইয়াসমিনকে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ইয়াসমিন মাকে নিয়ে কাশীপুরে ভাড়া বাসায় থেকে লেখাপড়া করছে।
সে বাকেরগঞ্জের কাজলাকাঠী গ্রামের নাজির আহমেদের মেয়ে এবং হাতেম আলী কলেজের ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। ১০ মাস পূর্বে ইয়াসমিন স্বামী মামুনকে তালাক দেয়। তালাক দেয়ার পর হুমকি-ধামকির মামলায় জেল খেটে সম্প্রতি মামুন কারামুক্ত হয়ে এই ঘটনা ঘটায় বলে অভিযোগ ইয়াসমিনের পরিবারের।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইয়াসমিন জানান, ৫ বছর আগে প্রেমের ফাঁদে ফেলে মামুন তাকে বিয়ে করে। বিয়ের পর সে জানতে পারে মামুনের আরো একটি বিয়ে রয়েছে এবং ওই সংসারে দু'টি সন্তান আছে। পরবর্তীতে তাদের দাম্পত্যে এক ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। এরপর থেকেই তার উপর বিভিন্ন সময় শুরু হয় নির্যাতন। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের মুখে স্বামীকে তালাক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। অব্যাহত নির্যাতনের কারনে ১০ মাস আগে মামুনকে তালাক দেন তিনি। তালাক দেয়ার পর থেকে মামুন তাকে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিল। এর বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তিনি। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর সাধারণ ডায়েরি মামলায় পরিণত হয়। ওই মামলায় মামুন জেলে যায়। দীর্ঘদিন জেল খেটে কিছুদিন আগে মুক্ত হয় সে।
ইয়াসমিন অভিযোগ করেন, গত সোমবার রাতে বাসায় ফেরার সময় কাশীপুরে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা মামুন পিছন থেকে তার মাথায় আঘাত করে। এরপর হত্যার উদ্দেশ্যে তার পিঠে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয়। তার ডাকচিৎকারে মামুন সটকে পড়ে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করে।
অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিত করে এ ঘটনায় মামলা দায়েরসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন নগরীর বিমান বন্দর থানার ওসি এআর মুকুল।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার