বরিশালের উজিরপুরের ধামুরা এলাকায় পরকীয়া প্রেমের জের ধরে স্ত্রী রেশমা আক্তারকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার দায়ে স্বামী সোহরাব হাওলাদারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের দণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার দুুপুরে বরিশালের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ এনায়েত হোসেন আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। নিহত রেশমা ধামুড়ার মৃত আব্দুস সত্তার হাওলাদারের মেয়ে এবং সোহরাব একই এলাকার মৃত রহম আলী বেপারীর ছেলে।
আদালত সূত্র জানায়, সোহরাবের ঘরের ভাড়াটিয়া গৌরনদীর সেন্টু বেপারীর সাথে রেশমার পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি টের পাওয়ার পর ২০১৫ সালের ৮ মার্চ রাতে ঘুমের ভান ধরে বিছানায় পড়ে থাকে সোহরাব। এরপর রেশমা ঘর থেকে বের হয়ে সেন্টুর সাথে দেখা করে দীর্ঘক্ষণ পর ফিরে এসে স্বামীর পাশে ঘুমিয়ে পড়ে। ঘুমন্ত রেশমাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে সোহরাব। পরে লাশ সেন্টুর ঘরে নিয়ে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচার চালায়।
পরদিন ৯ মার্চ নিহতের ভাই শাহিন হাওলাদার বাদী হয়ে সোহরাব, সেন্টু ও সোহরাবের বোন কোহিনুরের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উজিরপুর থানার এসআই ইয়াকুব আলী সেন্টুকে বাদ দিয়ে সোহরাব ও কোহিনুরকে অভিযুক্ত করে একই বছরের ২৪ মে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। পরে আদালতে ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত কোহিনুরকে বেকসুর খালাশ এবং সোহরাবকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন