সিলেটের বিশ্বনাথ-রশীদপুর সড়ক প্রশস্ত ও আধুনিকায়ন কাজে অনিয়মে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে বিশ্বনাথ সরকারি ডিগ্রি কলেজের সামনে এলাকাবাসীর উদ্যোগে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, সম্পূর্ণ অপরিকল্পিতভাবেই জনগুরুত্বপূর্ণ বিশ্বনাথ-রশীদপুর সড়ক প্রশস্ত ও আধুনিয়কায়নের কাজ চলছে। সড়কের দু’পাশে বড় বড় গাছের সারি ও বৈদ্যুতিক খুঁটি অপসারণ না করেই চলছে প্রশস্তকরণের কাজ। রাখা হয়নি ফুটপাতের জায়গাও।এ ভাবে অনিয়ম ও অপরিকল্পিতভাবে এই সড়ক প্রশস্তকরণ করা হলে সড়ক দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়বে। ঝুঁকিতে পড়বে পথচারীরা।
সড়কের কাজ সিডিউল অনুযায়ী হচ্ছে কি না এমন প্রশ্ন তুলে বলেন, সিডিউল দেখতে চাইলে বারবারই নানা টালবাহানা করে কালক্ষেপণ করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
সভায় বক্তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, দু’পাশের গাছ কেটে ও বৈদ্যুতিক খুঁটি অপসারণ করে এবং ফুটপাতের জায়গা রেখে পরিকল্পিতভাবে বিশ্বনাথ-রশীদপুর সড়ক প্রশস্ত ও আধুনিয়কায়নের কাজ করতে হবে। আর তা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাবেন এলাকাবাসী।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সংগঠক শেখ ফজর রহমানের পরিচালনায় প্রতিবাদ সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, হাজী সিরাজ মিয়া, হাজী শেখ মো. মনির মিয়া, হাজী চমক আলী, শেখ নূর মিয়া, মতছির আলী, কলমদর আলী, যুক্তরাজ্য প্রবাসী শেখ নেছার আহমদ, ইউপি সদস্য ফজর আলী, শামীম আহমদ, আব্দুল মোমিন মামুন, সংগঠক বিভাংশু গুণ বিভু, আবুল কালাম, মনোহর হোসেন মুন্না, আমির আলী, আসাদুজ্জামান নূর আসাদ, রফিক আলী, শানুর আলী জয়দু, শেখ মিছবা উদ্দিন, বাবুল মিয়া, ইমরান আহমদ সুমন, সামছুল ইসলাম প্রমূখ।
সভায় আগামী ২৯ জানুয়ারি বিশ্বনাথ পল্লীবিদ্যুৎ জোনাল অফিসের সামনের মাঠে পরবর্তী প্রতিবাদ সভা আহ্বান করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের আগস্টে বিশ্বনাথ-রশীদপুর ৩.৭০০ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্ত ও আধুনিকায়ন এবং সড়কের দু’পাশে ফুটপাত ও বিশ্বনাথ বাজার এলাকায় ড্রেন নির্মাণে ৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা বরাদ্দের টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। সড়কের দু’পাশে গাছের সারি ও বৈদ্যুতিক খুঁটি অপসারণ না করে এবং ফুটপাতের জায়গা না রেখেই ডিসেম্বরে শুরু হয় এর কাজ। এমন অনিয়ম আর অপরিকল্পিতভাবে কাজ চলতে থাকায় ক্ষোভ বিরাজ এলাকাবাসীর মধ্যে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন