বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক শিশু রোগীর মাকে চুলের মুঠি ধরে মারধরের অভিযোগ উঠেছে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে।
শনিবার বেলা ১২টার দিকে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার চাঁদনী বেগম (২৭) সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা। তার তিন বছরের বয়সের শিশুপুত্র আলিফ আনসারী হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
চাঁদনী বেগম অভিযোগ করেন, ওই ওয়ার্ডের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. শিবলি ও ডা. হাসান ভূঁইয়া ফয়সাল চুলের মুঠি ধরে তাকে মারধর করেছে। এ সময় শিশু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. অসীম কুমার সাহা তাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে। চাঁদনী বেগম বলেন, এসময় চিকিৎসকদের পা ধরে মাফ চাইলেও তাদের নির্যাতন থেকে রেহাই পাননি তিনি।
শিশুটির নানা হারুন মোল্লা জানান, তার নাতি আলিফ আনসারীকে (৩) অসুস্থ অবস্থায় গত শুক্রবার রাতে শেবাচিম হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রথমে তাকে প্রথমে শিশু সার্জারী বিভাগে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে পাঠানো হয় শিশু ওয়ার্ডের ডায়রিয়া বিভাগে। ডায়রিয়া ওয়ার্ড রোগী গ্রহন না করে আবার সার্জারী বিভাগে ফেরত পাঠায়। এভাবে ঘোরাঘুরিতে অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ হয়ে হাসপাতালটি ‘পাগলা গারদ’ বলে মন্তব্য করেন। এসময় কয়েকজন চিকিৎসক আলিফের মা চাঁদনী বেগমকে মারধর করে। শিশু বিভাগের প্রধান ডা. অসীম কুমার সাহ সেখানে উপস্থিত থাকলেও তিনি চিকিৎসকদের পক্ষ নিয়ে চাঁদনী বেগমকে গালিগালাজ করেন।
তবে আলিফ আনসারীর মা চাঁদনী বেগমকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকীর হোসেন বলেন, ডায়রিয়া ওয়ার্ডের এক নার্সের ভুলের জন্য সেখানে রোগী ও চিকিৎসকদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়। ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ওই নার্স চিকিৎসকদের সঙ্গে পরমর্শ না করেই সার্জারী বিভাগ থেকে আসা রোগীকে আবার ওই ওয়ার্ডে ফেরত যেতে বলে।
তিনি জানান, বারবার ঘোরাঘুরিতে শিশুটির অভিভাকরা ক্ষুব্ধ নার্সদের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়ায়। এসময় চিকিৎসকরা সেখানে উপস্থিত হলে অভিভাবকরা ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. ফয়সালকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এ নিয়ে উত্তেজনার সৃস্টি হলে তিনি (পরিচালক) ঘটনাস্থলে গিয়ে সকলকে তার কক্ষে নিয়ে যান। অভিভাবকরা তাদের ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চাইলে বিরোধের সমাধান হয়।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর