দিনাজপুরের কাশিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শত বর্ষপূর্তি উদযাপন বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে। তিনদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের শনিবার শেষ দিনে এক বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে সদরের কাশিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জালাল উদ্দীনের নেতৃত্বে বিদ্যালয়ের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন।
বর্ণাঢ্য র্যালিটি বিদ্যালয় মাঠ থেকে বের হয়ে কাশিমপুর গ্রামের প্রায় ৫ কিলোমিটারে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে দিনটিকে স্মারণীয় করতে প্রাক্তনরা র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন। পরে কাশিমপুর গ্রাম প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় বিদ্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
বিকালে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
কাশিমপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ডা. সারওয়ার কবির বলেন, আমি যে বিদ্যালয়ে বাবার হাত ধরে প্রথম এসেছিলাম আজ সেই বিদ্যালয়েই শত বর্ষপূর্তি উৎযাপন র্যালিতে অংশগ্রহণ করতে পেরে অনেক আনন্দ লাগছে। বিদ্যালয়ের অনেক স্মৃতি মনে পড়ছে। আমি এই বিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা করে একজন চিকিৎসক হয়েছি। মানুষকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করছি। তাই আজ অনেক খুশি।
ফারুক হোসেন নামে আরেক প্রাক্তন ছাত্র জানান, দিনাজপুর সদরের ৪৩ নং কাশিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শত বছর উদযাপন করা হচ্ছে। নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা যেন আগামী দিনে এই বিদ্যালয়টিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যায় সেই প্রত্যাশা রইল।
প্রধান শিক্ষক জালাল উদ্দীন বলেন, এই বিদ্যালয়টি ১৯১৯ সালে এই কাশিপুর গ্রামের হাজী খাজির উদ্দীন নিজ উদ্যোগে গ্রামের কিছু শিক্ষানুরাগী মানুষকে সাথে নিয়ে নিজের ৩০ শতক জমিতে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তার সেই দিনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি আজ শত বছরে পদার্পণ করল। তার নিজ হাতে তৈরি করা বিদ্যালয়টি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে জাতীয়করণ করেন। বর্তমানে ছয় জন শিক্ষক একজন দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী ও দুইশত ৫০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে বিদ্যালয়টি পরিচালিত হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন