ভোলার চরফ্যাশনে সোমবার আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। অর্ধশতাধিক ব্যক্তি ঘরের মধ্যে চাপা পড়ে আহত হয়েছেন। তাদের চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে শশীভূষণ এলাকার আলেফা বেগম (৪০) এর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে ঢাকা পাঠানো হয়েছে।
বাকিদের মধ্যে জাহানপুর এলাকার মো.শফিক মাঝি (৩৫), মালেখা বেগম (৬০), রাসেল (২৮), রমজান আলী (১৫), রাজু (২৩), ফজর আলী (২৬), ইবাদুল (২০), ইয়াছিন (১৬), হাফিজুর রহমান (১৮) গুরুতর আহত হয়েছেন।
চরফ্যাশন উপজেলা কৃষি অফিসার মনোতোষ সিকদার বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে মুজিবনগর, রসুলপুর এলকায় উঠতি ফসল তরমুজের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ বছর ৮ হাজার ৭৪০ হেক্টর জমিতে কৃষকরা তরমুজ চাষ করে। এলাকা সূত্রে জানা গেছে ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে এক তৃতীয়াংশ তরমুজের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ঢালচর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম হাওলাদার বলেন, ঝড়ের কবলে ঢালচর এলাকায় ১৭টি ঘর বিধ্বস্ত হয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে।
এ ব্যপারে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করে আসলে বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন বাংলাদেশ প্রতিদিন-কে বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে জাহানপুর ও রসুলপুর ইউনিয়নে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জাহানপুরে গুচ্ছগ্রামের ৮ ৫০ ঘরের মধ্যে প্রায় ২৫০ টি এবং মুজিবনগর ইউনিয়নে আশ্রয়ন প্রকল্পের প্রায় ৭০ টি ঘর ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বেড়ী বাঁধের আশপাশে থাকা দেড় শতাধিক কাঁচা ঘর ঝড়ের কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২ কোটি টাকা। গুচ্ছ গ্রাম ও আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা