বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে ও কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুইজন নিহত হয়েছেন। পুলিশ জানায়, মেহেন্দিগঞ্জে বন্দুকযুদ্ধে মামুন সরদার (২৭) নামে এক ডাকাত এবং কুমারখালীতে ইমদাদ খুনকার (৩৮) নামে একজন মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়। সোমবার দিবাগত রাত ২টা থেকে মঙ্গলবার ভোরের মধ্যে পৃথক এই দুই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
নিহত মামুন সরদার বরিশালের হিজলা উপজেলার খুন্না এলাকার মালেক সরদারের ছেলে। নিহত ইমদাদ কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার রঞ্জিতপুর গ্রামের কটা খন্দকার ওরফে রাফির ছেলে।
বরিশালের কাজীরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) আব্দুল খালেক জানান, গত ৫ ফেব্রুয়ারি কাজীরহাট থানায় স্থানীয় পান্না মীরের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়। যে মামলার সূত্র ধরে কয়েকদিন আগে রাসেল হাওলাদার নামে একজনকে আটক করা হয়। পুলিশ ও আদালতে রাসেলের দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মামুনের নেতৃত্বে ওই ডাকাতি সংগঠিত হয়। ডাকাতির মালপত্রও তার কাছে রয়েছে।
এ সূত্র ধরে পুলিশ অভিযানে নেমে সোমবার রাত ৮টা দিকে মুলাদী ব্রিজ এলাকা থেকে মামুনকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী কাজীরহাট থানা এলাকার কাজীরাবাদ ডিগ্রি কলেজস্থ মনিরের ইটভাটার পশ্চিমপাশে ডাকাতির মালপত্র উদ্ধারের অভিযানে যায় পুলিশ। রাত ২টার দিকে অভিযানের সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মামুনের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি চালায়। এরমধ্যে মামুন পালিয়ে যাওয়ার জন্য দৌড় দিলে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর হয়। পরে তাকে মুলাদী হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কাজীরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল খালেক আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটার, একটি পাইপগান, দুই রাউন্ড রাইফেলের গুলি, দুই রাউন্ড পিস্তলের গুলি, বেশকিছু গুলির খালি খোসা, দুইটি রামদা, একটি শাপল, ছয়টি মুখোশ উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে, কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে’ ইমদাদ খুনকার (৩৮) নামে একজন নিহত হয়েছে। পুলিশের দাবি, নিহত ব্যক্তি একজন মাদক ব্যবসায়ী। মঙ্গলবার ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার আদাবাড়িয়া এলাকার চেচুয়া বিলের পাশে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১টি বিদেশী পিস্তুল, ৩ রাউন্ড গুলি ও ১০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুর রহমান জানান, আদাবাড়িয়া চেচুয়া বিলের পাশে দুই পরে মধ্যে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় দুর্বৃত্তরা পুলিশেকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। জবাবে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে বন্দুকযুদ্ধরতরা পিছু হটলে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ গুলিবিদ্ধ ইমদাদকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইমদাদকে মৃত ঘোষণা করে।
পুলিশের ধারণা, মাদক ব্যবসা নিয়ে জটিলতার কারণে দু’পক্ষের মধ্যে ‘বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। ইমদাদের বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে বলেও পুলিশ জানায়।
বিডি-প্রতিদিন/২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯/মাহবুব