ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে সরকারি রাস্তার কয়েক লাখ টাকার গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গাছকাটার বিষয়টি নিয়ে এলাকার জনগণের মাঝে বেশ ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ঘোষপুর ইউনিয়নের সাতৈর-ভীমপুর সড়কের রতনদিয়া বাজার থেকে দক্ষিণ খামারপাড়া পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার সড়কের ৮/১০টি মূল্যবান শিশু ও রেইনট্রি গাছ কেটে নেওয়া হয়েছে। গাছ কাটার তদারকি করছেন ৩নং ওয়ার্ডের চৌকিদার সাদেক আলী ফকির। এসব গাছের বেশির ভাগই কেটে নেওয়া হয়েছে। বাকি গাছগুলো এখনো কাটা হচ্ছে।
সোমবার সকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, সাতৈর-ভীমপুর এলজিইডি সড়কের বেশ কিছু গাছ কাটা হচ্ছে।
চৌকিদার সাদেক আলী জানান, ফারুক চেয়ারম্যানের নির্দেশে তিনি লোক দিয়ে গাছগুলো কাটাচ্ছেন। রতনদিয়া বাজারের পাশ থেকে একটি রেইনট্রি ও দুটি শিশু গাছ এবং দক্ষিণ খামারপাড়া থেকে একটি রেইনট্রি ও চারটি শিশু গাছ ইতোমধ্যেই কেটে নেওয়া হয়েছে। বাকি গাছগুলো কাটা হচ্ছে। সেগুলো নসিমনে তুলে অন্যত্র নিতে দেখা গেছে।
তবে গাছগুলো কোথায় নেয়া হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে নসিমন চালক জানান, চেয়ারম্যান তার অফিসে নিয়ে যেতে বলেছেন।
স্থানীয় রতনদিয়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুস সামাদ জানান, মূল্যবান গাছগুলো চেয়ারম্যানের নির্দেশে চৌকিদার শ্রমিক দিয়ে কেটে নিয়ে যাচ্ছে।
দক্ষিণ খামারপাড়া গ্রামের আবুল মিয়া জানান, রাস্তার পাশের অনেক গাছ আমি নিজে লাগিয়েছি। আমার কাছে না শুনে চেয়ারম্যান গাছগুলো কেটে নিয়ে যাচ্ছে।
চৌকিদার সাদেক আলী ফকির জানান, ঘোষপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন সপ্তাহখানেক আগে নিজে এসে আমাকে গা গুলো দেখিয়ে কেটে নেওয়ার কথা বলেছে। আমি তার নির্দেশ মোতাবেক শ্রমিক দিয়ে গাছগুলো কেটেছি।
সড়কের পাশ থেকে সরকারি গাছ কেটে নেওয়ার বিষয়ে ঘোষপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের কয়েকটি দরজা-জানালা ভেঙে গেছে। তাই সেগুলো মেরামত করার জন্য গাছগুলো কাটা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের রেজুলেশনও করা হয়েছে। আমি ইউএনও ও উপজেলা চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানিয়েছি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জাকির হোসেন জানান, গাছ কাটার বিষয়টি আমি জানার পর চেয়ারম্যানকে তার জিম্মায় রাখার কথা বলেছি। তদন্ত করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম