যুবলীগ নেতার ইজারা নেওয়া কুমিল্লার নিমসার বাজার দখলে নিয়েছে ছাত্রলীগ নেতা। গত তিন দিন ধরে যুবলীগ নেতা আবদুল্লাহ আল-মামুনকে খাজনা তুলতে দিচ্ছেনা ছাত্রলীগ নেতা আবদুল কাদের জিলানী।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা নগরীর একটি রেস্তরাঁয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাজার দখলে নেওয়ার বিষয়ে অভিযোগ করেন বাজারের ইজারাদার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়ন যুবলীগের ১নং যুগ্ম আহবায়ক আবদুল্লাহ আল-মামুন।
সংবাদ সম্মেলনে আবদুল্লাহ আল-মামুন অভিযোগ করেন, চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে বৃহৎ কাঁচাবাজার বুড়িচং উপজেলার নিমসার কাঁচা বাজার। চলতি ১৪২৬ বাংলা সালে প্রায় ৪ কোটি টাকার রাজস্ব দিয়ে তিনি সরকার থেকে ওই বাজারের ইজারা গ্রহণ করেন। কিন্তু পহেলা বৈশাখের দিন সকালে মাছ বাজারে ইজারা আদায় করতে গেলে বুড়িচংয়ের মোকাম ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল কাদের জিলানীর নেতৃত্বে ২০/২৫ জন ব্যক্তি ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়।
এ সময় ইজারা আদায়কারী মীর মোশারফ হোসেন মিণ্টুকে কুপিয়ে আহত করা হয়। হামলার পর জিলানীর নেতৃত্বে তার নিযুক্ত লোকজন বাজারে অস্ত্রের মহড়া দেয়। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে আবদুল কাদের জিলানী, হাফিজ, শাহীন, মাসুদ রানা, মোস্তফা, পিয়াস, সোহেল ও মারুফকে এজাহার নামায় আসামি এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৮/৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
রাজস্ব আদায় এবং ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তাসহ নির্বিঘ্নে ইজারার টাকা আদায় এবং সন্ত্রাসী হামলায় জড়িতদের গ্রেফতার দাবি করতে তিনি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবরে আবেদন করেছেন।
মোকাম ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল কাদের জিলানী বলেন, আমি এলাকায় নেই। মা অসুস্থ, তাকে নিয়ে ব্যস্ত রয়েছি। মূলত স্থানীয় ফজলুল হক মুন্সী চেয়ারম্যান, কবির মেম্বার, যুবলীগ নেতা মাসুদসহ অন্যান্যরা আবদুল্লাহ আল মামুনের অবৈধ কাজের প্রতিবাদ করেছে। আমাকে শুধু শুধু অভিযুক্ত করা হচ্ছে। আমার মালিকানা জায়গায় খাজনা নিতে এলে ব্যবসায়ীরা বাধা দেয়।
বুড়িচং উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরুল হাসান বলেন, সরকারের রাজস্ব দিয়ে আবদুল্লাহ আল-মামুন নিমসার বাজার ইজারা নিয়েছেন। আমরা শুনেছি কিছু লোক ইজারা আদায়ে বাধার সৃষ্টি করছে। সরকারের কাজে বাধা প্রধানকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর