এবার পরকীয়ার জেরে স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যা করেছে পাষণ্ড স্বামী। স্ত্রীর মৃত্যু নিশ্চিত করে স্বামী নিজেই স্ত্রীর ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আজ চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুরের কাপাসিয়ায়।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে স্বামী-স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন, কাপাসিয়ার টোক ইউনিয়নের আড়ালিয়া গ্রামের ফজলু মিয়ার কন্যা ফাহিমা (১৮) ও বড়চালা গ্রামের মনির হোসেনের পুত্র রিমন (২১)।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, টোক ইউনিয়নের বড়চালা গ্রামের মনির হোসেনের পুত্র রিমনের সাথে গত ৯ মাস পূর্বে পারিবারিকভাবে ফাহিমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে রিমন কোনো কাজকর্ম না করে শ্বশুর বাড়িতেই স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করতো। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে ফাহিমা তার স্বামীকে অন্য মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক আছে বলে সন্দেহ করতে থাকে। এ নিয়ে প্রায় সময় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতো। এক পর্যায়ে রিমন তার নিজ বাড়িতে চলে যায়।
গত রবিবার স্ত্রী ফাহিমা রিমনকে ফোনে ডেকে বাড়িতে আনে। পুনরায় আজ সকালে দু’জনের মধ্যে মোবাইল নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় উত্তেজিত হয়ে রিমন ফাহিমার গলায় চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে বসত ঘরের আঁড়ের সাথে স্ত্রীর ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে রিমন আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে কাপাসিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে স্বামী-স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
কাপাসিয়া থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) মনিরুজ্জামান খান বলেন, স্বামী রিমন একজন বেকার হয়ে স্ত্রীর বাড়িতে ঘরজামাই হিসেবে থাকতো। ফাহিমার পিতা হতদরিদ্র পার্শ্ববর্তী গফরগাঁও এলাকায় আইসক্রিম বিক্রি করে কষ্টের সাথে তাদের ভরণ পোষণ করতো।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পরকীয়া নিয়ে দু’জনের মধ্যে ঝগড়ার কারণেই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। তবে আমরা এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা নিয়েছি। একটি হত্যা ও অপরটি অপমৃত্যু।
কাপাসিয়া থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যাই এবং স্বামী-স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল