বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের গৌরনদী উপজেলার কাছেমাবাদ এলাকায় দ্রুতগামী যাত্রীবাহী সাকুরা পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় অটোরিক্সা আরোহী গৃহবধূ লাবনী আক্তার (১৮) নিহত হয়েছে।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৪ দিকে এই দুর্ঘটনায় লাবনীর স্বামী রাজু ফকির এবং তার শ্বশুর অটোরিক্সা চালক জামাল ফকির গুরুতর আহত হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। লাবনী আক্তার হরিসেনা গ্রামের রাজু ফকিরের স্ত্রী ছিলেন।
গৌরনদী হাইওয়ে থানার ওসি শেখ মো. আতিয়ার রহমান জানান, কয়েকদিন আগে লাবনী আক্তার তার বাবার বাড়ি যায়। সোমবার দুপুরে তাকে নিয়ে আসতে যায় স্বামী রাজু ফকির ও তার বাবা জামাল ফকির। বিকেল ৪ টার দিকে বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়ির উদ্দেশ্যে অটোরিক্সায় রওনা হয় লাবনী। তার পাশে বসা ছিলেন স্বামী রাজু ফকির। অটোরিক্সা চালাচ্ছিলেন রাজুর বাবা জামাল ফকির। দুর্ঘটনাস্থল কাছেমাবাদ এলাকা অতিক্রমকালে ঢাকা থেকে বরিশালগামী সাকুরা পরিবহনের একটি বাস ওই অটোরিক্সার পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন লাবনী। আহত হয় রাজু ফকির ও তার বাবা অটোরিক্সা চালক জামাল ফকির। দুর্ঘটনার পর বাস ফেলে চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়।এ ঘটনায় মামলা দায়েরসহ আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন হাইওয়ে থানার ওসি শেখ মো. আতিয়ার।
এদিকে গত রবিবার বিকেলে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের রহমতপুরে বাসের ধাক্কায় আহত বাবুগঞ্জ কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী মো. মাইনুদ্দিন (১৭) শের-ই বাংলা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই রাতেই মারা যায় বলে জানিয়েছেন হাসপাতালে দায়িত্বরত পুলিশের বিশেষ শাখার এসআই মো. নাজমুল ইসলাম। তিনি জানান, বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা চাঁদা তুলে মাইনুদ্দিনের যাবতীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করলেও ওই রাতেই মারা যায় সে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল