ভারতের পশ্চিমবঙ্গের লোকসভা নির্বাচনের কারণে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের সাথে বাংলাদেশের বেনাপোল স্থলবন্দরের আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। আজ সকাল থেকে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে।
তবে বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও দু'দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক রয়েছে।
পঞ্চম দফার এই নির্বাচনে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ৭টি আসনে লোকসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আসনগুলো হলো- উলুবেড়িয়া, হাওড়া, শ্রীরামপুর, আরামবাগ, ব্যারাকপুর, হুগলি ও বনগাঁ কেন্দ্র। পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
ভারতের পেট্রাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শ্রী কার্তিক চক্রবর্তী জানান, পেট্রাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের ভোট প্রয়োগ করতে নিজ নিজ এলাকায় চলে যাওয়ার ফলে এ পথে কোনো আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম হবে না। মঙ্গলবার সকাল থেকে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম যথারীতি নিয়মে চলবে।
এদিকে বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা বনগাঁসহ অন্যান্য কেন্দ্রের নির্বাচনকে সামনে রেখে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সীমান্ত এলাকাগুলো সিল করে দেওয়া হয়েছে। ভোটের দিন কোনো প্রকার বহিরাগত সন্ত্রাসীগোষ্ঠী সীমান্ত পেরিয়ে ওপার বাংলায় যাতে প্রবেশ করতে না পারে মূলত সে কারণেই নির্বাচন কমিশন এ নির্দেশ জারি করেছে।
নির্দেশ পাওয়ার পর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীসহ (বিএসএফ) বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার শক্তি বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিএসএফ ও পুলিশ নজরদারি ও টহল বাড়িয়ে দিয়েছে। ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর থাকবে। প্রতিবারেই ভোটের আগে সীমান্ত সিল করে দেওয়া হয়। তবে এবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করা হয়েছে।
ভারতীয় নির্বাচন কমিশন বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে শান্তিপূর্ণ ভোট করানোর জন্যই এইসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ভারত সীমান্তের প্রতিটি বিএসএফ ক্যাম্পে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত সৈন্য।
ভারত ফেরত পাসপোর্টধারী যাত্রীরা জানায়, নির্বাচনকে সামনে রেখে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সীমান্তপথে চেকপোষ্ট বসানো হয়েছে। এসব চেকপোস্টে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রীদেরও তল্লাশি করা হচ্ছে। সন্দেহ হলে করা হচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদ। সীমান্ত এলাকা ছাড়াও ছোট বড় আবাসিক হোটেল, বাস ও রেলস্টেশনে পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। ভোটের দিন বিশেষ পুলিশি প্রহরায় ঢাকা-কলকাতা সরাসরি বাস যাতায়াত করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় বিজিবি‘র একটি সূত্র জানায়, নির্বাচনের সময় বর্ডার একটু কড়াকড়ি থাকে। তবে এ সীমান্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। বিএসএফের পাশাপাশি বিজিবিও সতর্কতার সঙ্গে সীমান্তে দায়িত্ব পালন করছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা আজিজুর রহমান জানান, ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন হওয়ায় সোমবার বেনাপোল-পেট্রাপোল পথে কোনো আমদানি-রপ্তানি হবে না বলে ওপারের সিএন্ডএফ এজেন্টরা আগেই জানিয়ে দিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল