ভারী বর্ষণ ও অব্যাহত উজানের ঢলে তিস্তার পানি দোয়ানি পয়েন্টে বিপদসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির ফলে লালমনিরহাটে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে তিস্তায় দেখা দিয়েছে ভয়াবহ ভাঙ্গন। গত দু’দিনে তিস্তার ভাঙ্গনে শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে।
এদিকে ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে আতংকিত হয়ে পড়েছেন তিস্তা পাড়ের মানুষ। ঢলের গর্জনে পানিবন্দী এসব মানুষের চোখে ঘুম নেই।
অন্যদিকে ৫ দিন ধরে রান্না করতে না পারায় বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকটে ভুগছেন তারা। জেলার প্রায় ২৫ হাজার পরিবার এখন দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে।
এদিকে তিস্তা ভয়ংকর রুপ ধারন করায় তিস্তা ব্যারেজ এলাকা ও চরাঞ্চলে পানি উন্নয়ন বোর্ড রেড এলার্ট জারি করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান।
শুক্রবার সন্ধায় তিস্তার পানি প্রবাহ দোয়ানি পয়েন্টে বিপদসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে ৫২.৯৫ সেন্টিমিটার।
এদিকে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে তিস্তায় দেখা দিয়েছে ভয়াবহ ভাঙ্গন। গত দু’দিনে তিস্তার ভাঙ্গনে শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে।
ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে আতংকিত হয়ে পড়েছেন তিস্তা পাড়ের মানুষ। ঢলের গর্জনে পানিবন্দী এসব মানুষের চোখে ঘুম নেই। অন্যদিকে ৫ দিন ধরে রান্না করতে না পারায় বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকটে ভুগছেন তারা। জেলার প্রায় ২৫ হাজার পরিবার এখন দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন। ধরলার পানি কুলাঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ১৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, শুক্রবার দুপুরে তিস্তার পানি ব্যারেজ পয়েন্টে একটু কম থাকলেও সন্ধ্যা ৬টার দিকে হঠাৎ উজানের ঢলে পানি বিপদসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ব্যারেজ রক্ষায় ব্যারেজ এলাকা ও চরা লে রেড এলার্ট জারি করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন