সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার প্রস্তুতি চলছে বগুড়ায়। মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে প্রতিমা তৈরীর কাজ। কোথাও প্রতিমার কাঠামো তৈরি হয়েছে। কোথাও মাটি ভরাট করে প্রতিমার প্রতিরূপ ফুটে তোলার কর্মে ব্যস্ত রয়েছে প্রতিমার কারিগররা। প্রতিমায় এখনো রঙের আচঁড় দেয়া হয়নি। আর কয়েকদিন পর চূড়ান্ত সেজে উঠবে প্রতিমাগুলো।
বগুড়া জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এবার জেলার ১২টি উপজেলায় ৬৭৭টি পুজা মণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে। সুষ্ঠু ও শান্তিপুর্ণ পরিবেশে এই ধর্মীয় উৎসব পালনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন। মণ্ডপের আয়োজকদের সরকারিভাবে বরাদ্ধ দেওয়ার প্রস্তুতিও শেষ পর্যায়ে। প্রতি বছরের মত এ বছর বরাদ্ধ দেয়া হচ্ছে চাল।
বগুড়া জেলা পুলিশ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ১২টি উপজেলায় পুজা মণ্ডপকে বিভিন্ন স্তরে ভাগ করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। ঝুঁকিপূর্ণ মণ্ডপগুলোতেও থাকবে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রয়োজনে বিশেষ গুরত্ব দিয়ে সিসি টিভিও বসানো হবে।
দূর্গাপূজার মধ্যে বগুড়া সদরে ১১৮টি, শিবগঞ্জে ৫১টি, সোনাতলায় ৪৫টি, গাবতলীতে ৭১টি, সারিয়াকান্দিতে ২৪টি, কাহালুতে ৪০টি, দুপচাঁচিয়ায় ৩৮টি, আদমদীঘিতে ৭০টি, ধুনটে ৪১টি, নন্দীগ্রামে ৪৬টি, শাজাহানপুরে ৪৯টি এবং শেরপুরে ৮৪টি মণ্ডপে এবার দুর্গাপূজার আয়োজন চলছে।
বগুড়া পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ জানায়, বগুড়া জেলায় গত বছর ৬৬৪টি মণ্ডপে দূর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখান থেকে এ বছর মণ্ডপের সংখ্যা বেড়েছে।
বগুড়া জেলা প্রশাসকের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখার ত্রাণ কর্মকর্তা আজাহার আলী মন্ডল জানান, জেলায় মণ্ডপে পূজার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। সরকারিভাবে খুব দ্রুত বরাদ্ধ পৌঁছে দেওয়া হবে।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তি জানান, প্রতিটি পুজা মণ্ডপে নিরাপত্তার জন্য পুলিশের পাশাপাশি আনসার, পূজা উদযাপন পরিষদের স্বেচ্ছাসেবীরা দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়াও ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত পুজা মণ্ডপগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা হিসেবে র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা নিয়মিত টহলে থাকবে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা