নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার কয়েন বাজার এলাকায় ইজাহারুল ইসলামের বাড়ির লোকদের মাথায় আঘাত করে সর্বস্ব লুট করে ডাকাত দল। এরপর লুট করা মুঠোফোনটি নষ্ট করে ফেলে ডাকাতরা। তবে দীর্ঘ দুই মাস যৌথ প্রচেষ্টায় আন্তঃজেলা ডাকাতদলের আট আসামির মধ্যে সাত জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ইতোমধ্যে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
বুধবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যলয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, বড়াইগ্রামের নগর ইউনিয়নের মকিমপুরের রুস্তম আলীর ছেলে আতাহার আলী (২৮), লালপুর উপজেলার কদমচিলান এলাকার মেহেরের ছেলে কামরুল (৩২), মাজেমের ছেলে শহীদ (৩৫), নাজিরের ছেলে আজাদুল (২৯), আমজাদের ছেলে মিনারুল (৩৪), কদিমচিলান মধ্যপাড়ার সোবহানের ছেলে সুমন (৩০) এবং আবুলের ছেলে জাহাঙ্গীর (৩২)।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকরামুল ইসলাম, বড়াইগ্রাম সার্কেল এসপি হারুনার রশিদ, বড়াইগ্রাম থানার ওসি দিলীপ কুমার দাস, সদর থানার ওসি কাজী জালাল উদ্দিন ও ডিবি ওসি সৈকত হাসান উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, গত ৭ আগস্ট রাতে একদল সশস্ত্র ডাকাত বড়াইগ্রামের কয়েন বাজার এলাকার ইজাহারুলের বাড়িতে তিনটি দরজা ভেঙে প্রবেশ করে। এ সময় বাড়ির মহিলাসহ কয়েকজনকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে নগদ ৩০ হাজার টাকা, ৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও একটি মুঠোফোন নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হলে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা মাঠে নামে। এক পর্যায়ে সাত ডাকাতকে গ্রেফতারের পর ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র, শাবল ইত্যাদি উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় আদালতে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে বলেছে, গ্রেফতারের ভয়ে তারা মুঠোফোনটি পানিতে ফেলে দেয়। স্বর্ণালঙ্কার বিক্রি এবং নগদ টাকা তারা ভাগ করে নিয়েছে বলে স্বীকার করেছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন