ইলিশের প্রজনন মৌসুমে ইলিশ রক্ষার ২২ দিনের অভিযানের ৪র্থ দিনে শরীয়তপুরের ৪ উপজেলার পদ্মা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান চালিয়ে ২৯ জেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় ৪৭ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্টজাল ও দেড়শত কেজি ইলিশ মাছ জব্ধ করা হয়।
দিনের বেলা কোন নৌকা ভাসায় না জেলেরা। তবে কোন অসাধু জেলে রাতের আধারে ইলিশ আহরনে নৌকা জাল নিয়ে নেমে পড়ে পদ্মা নদীতে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল শুক্রবার রাত ১১টায় একই সাথে জেলার ৪ উপজেলায় নৌ পুলিশ, থানা পুলিশ ও মৎস্য বিভাগ নির্বাহী মেজিষ্ট্রেটগণের নেতৃত্বে অভিযানে নামে।
শুক্রবার রাত ১১ টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৮ টা পর্যন্ত নদীতে অবস্থান করে ইলিশ রক্ষায় অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী মেজিষ্ট্রেটগণ। অভিযানে জেলার নড়িয়া উপজেলার পদ্মা নদীর চরআত্রা ও নওপাড়া এবং সুরেশ্বর এলাকা থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত অবৈধ্য কারেন্ট জাল নিয়ে ইলিশ আহরণের অপরাধে ১৪ জেলেকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় ২৬ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ১০৭ কেজি ইলিশ জব্ধ করা হয়। ভেদরগঞ্জ উপজেলার চরভাগা ও কাচিকাটা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১১ জেলে গ্রেফতারসহ ১০ হাজার মিটার কারেন্টজাল ও ২০ কেজি ইলিশ জব্ধ করা হয়। জাজিরা উপজেলার ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ১০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ৩০ কেজি ইলিশ জব্ধ করা হয় এবং গোসাইরহাটে ৪ জেলে গ্রেফতারসহ ৭ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্ধ করা হয়।
পড়ে আজ শনিবার সকাল ১০ টায় স্ব স্ব উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচার কার্য সম্পূর্ন করা হয়। এতে গ্রেফতারকৃত ২৯ জনের মধ্যে ভেদরগঞ্জে একজনের বয়স কম হওয়ায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এবং বাকিদের মধ্যে নড়িয়া উপজেলায় ১৪ জনকে মৎস্য আইনের অধিনে ১ বছর করে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এবং ভেদরগঞ্জ ও গোসাইরহাটে ১৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
জব্ধকৃত মাছ স্থানীয় বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী এতিম খানায় বিতরণ করা হয়। এবং কারেন জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। ইলিশ রক্ষায় ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে। এদিকে, সরকারি কোন সহায়তা এখনও জেলেদের মাঝে বিতরণ করা হয়নি।
বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ