নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের হিরাঝিল ও বিহারী ক্যাম্প এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতাসহ ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১। এসময় তাদের কাছ থেকে ৩৫০টি স্মার্টফোন ও ৯০০টি সাধারণ মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
শনিবার দুপুরে র্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিন সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিন। এসময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাইকৃত নগদ ২২ হাজার ৬শ টাকা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো. সাজ্জাদ হোসেন (২৪), মো. শাহজালাল হাওলাদার (৩২), মো. হৃদয় (২১), মো. আ. ছাত্তার (৪৫), মো. মিলন হোসেন (৩৫), আবুল হোসেন (২৫), মো. মোস্তফা (৩১), মো. আলী অজগর (২১), মো. রমজান সরদার (৩১), মো. নাসির উদ্দিন (৪৩), মো. দেলোয়ার হোসেন (৩৫), মো. মাহিম মিয়া (২৮), মো. হায়দার আলী (৪৫) ও মো. শাহজাহান (১৮)।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গ্রেফতারকৃত আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও অনুসন্ধানে জানা যায়, এটি একটি সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্র। এই ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা দীর্ঘদিন যাবত সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী ইপিজেড ও চিটাগাং রোড এবং এর আশপাশের এলাকায় কখনো গার্মেন্ট কর্মী আবার কখনো সাধারণ যাত্রীর ছদ্মবেশে কৌশলে সাধারণ গার্মেন্ট কর্মী ও সাধারণ লোকজনের মানিব্যাগ, মোবাইল, নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার ছিনতাই করে। এই ছিনতাইকৃত চোরাই মালামাল সাজ্জাদ হোসেনের কাছে নিয়ে আসে। সাজ্জাদ এই মালামাল হিরাঝিল এলাকার বিভিন্ন দোকানে গোপনে মজুদ রাখে এবং বিভিন্ন ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে। সাজ্জাদ এই চক্রের মূলহোতা। তার নির্দেশে এই চক্র তাদের ছিনতাই কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
র্যাব-১১ এর অনুসন্ধানে ছিনতাই সংক্রান্ত ঘটনার সত্যতা পেয়ে তা বন্ধকরণ ও জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে শনিবার দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন হিরাঝিল ও বিহারী ক্যাম্প এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এসময় ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতাসহ উপরোক্ত ১৪ জন আসামিকে হাতে-নাতে গ্রেফতার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা আরও স্বীকার করে যে, তারা একটি সংঘবদ্ব ছিনতাইকারী চক্র। এই চক্রের
লিডার মো. সাজ্জাদসহ, মো. শাহজালাল হাওলাদার, মো. হৃদয় ও মো. আব্দুল ছাত্তার দীর্ঘদিন ধরে ছদ্মবেশে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে গার্মেন্ট কর্মী ও সাধারণ লোকজনের মানিব্যাগ, মোবাইল, নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার ছিনতাই করে আসছে।
পরে তাদের এই ছিনতাইকৃত মালামাল চক্রের সদস্য মো. মিলন হোসেন, আবুল হোসেন, মো. মোস্তফা, মো. আলী অজগর, মো. রমজান সরদার, মো. নাসির উদ্দিন, মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. মাহিম মিয়া, মো. হায়দার আলী ও মো. শাহজাহানগন বিভিন্ন কৌশলে বিক্রি করে। ছিনতাই কর্মকাণ্ড বন্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে উল্লেখ করা হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন