বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বেলা ১১টায় উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, অনেকেই দলছুট হয়ে আওয়ামী লীগে প্রবেশ করেছে। যারা কখনোই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী ছিল না, সেই সব নব্য ও হাইব্রিড আওয়ামী লীগ নামধারীরা নন্দীগ্রামে আওয়ামী লীগের শক্ত অবস্থান নড়বড়ে করতে চায়। তারা জামায়াত-বিএনপির চিহ্নিত নেতাকর্মীদের দলে যোগদান করিয়েছে। নব্যদের কারণে আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতারা যেমন কোনঠাসা তেমনি অভ্যন্তরীন দ্বন্দ্বও তৈরি হচ্ছে তাদের কারণে।
আনিছুর রহমান আরও বলেন, একটি বিশেষ মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তে লিপ্ত। অপপ্রচারকারীরা জাতীয় পত্রিকাসহ অনলাইনে একটি ভিডিও ছেড়ে ও পোস্টার ছাপিয়ে সেখানে আমাকে মাদক সেবনকারী ও মাদক ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন অপবাদ দিয়েছে যা আদৌ সঠিক নয়। আমি কখনোই জাসদ বা অন্য কোন দলের সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম না। আমি শৈশব থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করি। জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এগিয়ে নিতেই আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রমে সক্রিয় হই। নেতাকর্মীদের ভালোবাসায় প্রত্যক্ষ ভোটে আমি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছি।
ষড়যন্ত্রকারীরা আমাকে সরিয়ে দিতে রাজনৈতিকভাবে ব্যর্থ হয়ে অপরাজনীতির পথ বেছে নিয়েছে। তারা মিথ্যাচারের পথ নিয়ে মাদক সম্পৃক্ততার নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে। যারা আমার বিরুদ্ধে মিছিল করেছে, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে বহিষ্কার আদেশ ও শোকজ নোটিশ দেয়া হয়েছিল। যা এখন পর্যন্ত বহাল আছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা স্বপন চন্দ্র মহন্ত, মোরশেদুল বারী, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল চন্দ্র মহন্ত, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আজিজুর রহমান, শামীম শেখ, মুক্তারিন জাহিদ সরকার, কালিপদ সরকার, আনিছুর রহমান আলো, সোহেল রানা সোহাগ, নিক্ঞ্জু চন্দ্র, উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি এমআর জামান রাসেল ও উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ রায়হান মানিক প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক