বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় ট্রলি চালক শহিদুল ইসলামের (৩৪) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের স্ত্রী সালমাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় শেরপুরের সূত্রাপুর ফুলজোড় নদীর ঘাটপাড় থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে লাশ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ।
বগুড়ার শেরপুর থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের সূত্রাপুর আখিরীপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের স্ত্রী সালমা একই গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে শাহীন আলমের সাথে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। ২ মাস পর সালমার পূর্বের স্বামী শহিদুল তাকে মেনে নিয়ে ঘর সংসার করতে থাকে। এ নিয়ে প্রায়ই শহিদুল ও সালমার মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকতো। গত ৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় কৌশলে শহিদুলকে নদী থেকে পানি নিতে পাঠায় তার স্ত্রী। পানি আনতে গিয়ে সে আর ফিরে আসেনি।
এদিকে, শহিদুল নিখোঁজের দুই দিন পর বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় লোকজন ফুলজোড় নদীর সূত্রাপুর ঘাটপার এলাকায় শহিদুলের ব্যবহৃত লুঙ্গি ও গামছা দেখতে পায়। এতে তাদের সন্দেহ হলে নদীতে জাল নামিয়ে দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে দুপুর দেড়টার দিকে জালের সাথে লাশ ভেসে উঠে আসে।
স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমানসহ শেরপুর থানার পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধারপূর্বক হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে স্ত্রী সালমাকে আটক করে থানায় নেয়া হয়। এ ঘটনার পর থেকে সালমার দ্বিতীয় স্বামী হিসেবে পরিচিত শাহীন আলম পলাতক রয়েছে।
এ ঘটনায় নিহতের স্বজন হাফিজুর রহমান মঙ্গলবার রাতে অজ্ঞাতনামা তিন জনকে আসামি করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সাথে স্ত্রী সালমা জড়িত থাকতে পারে এমন অভিযোগে তাকে আটক করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবীর জানান, এ হত্যাকাণ্ডের সাথে পরকীয়া প্রেমিক শাহীন ও নিহত শহিদুলের স্ত্রী আটক সালমা জড়িত রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকারোক্তিতে জানা গেছে। বিষয়টি তদন্ত চলছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন