বারান্দার দেয়ালে মাথা, চোখে পানি। মুখে শুধু একটাই কথা, “আল্লাহ তুই মোর ছুয়াটাক সুস্থ রাখিস, রহমত করিস। মোর ছুয়াটা যাতে সুস্থ থাকে।”
বৃহস্পতিবার সকালে এসব বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন চীনে পড়তে যাওয়া মোকছেদুল মমিনের মা মনোয়ারা বেগম। তিনি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মোলানখুড়ি গ্রামের বাসিন্দা।
চীনে উচ্চ শিক্ষা অর্জনের জন্য ঠাকুরগাঁও জেলা থেকে যাওয়া প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীদের জীবনের হুমকি হয়ে দাঁড়ালো করোনাভাইরাস। ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ী রয়েছেন চীনে। আর দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন চীনে অবস্থানরত শিক্ষার্থীসহ তাদের অভিভাবকরা। ভাইরাসের খবর প্রচার হবার পর থেকেই দুশ্চিন্তা ও আতঙ্ক বেড়েই চলছে এসব পরিবারের স্বজনদের। সেই সঙ্গে চিন্তায় রয়েছেন এলাকাবাসীও।
শিক্ষার্থীদের দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, বাংলাদেশ সরকার চীনে অবস্থানরত কিছু বাংলাদেশি যাতে দেশে আসতে পারে সেটার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তবে আমাদের ঠাকুরগাঁও জেলার বেশ কিছু ছাত্র ও ব্যবসায়ী এখনো চীনে রয়ে গেছে। তাদের মধ্যে একজন একটি ভিডিও বার্তায় বাংলাদেশে আশার আকুতি জানিয়েছেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চেষ্টা করছি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানানোর।
অপরদিকে যদিও ঠাকুরগাঁও জেলায় এই ভাইরাস এখনও প্রবেশ করেনি এরপরেও প্রস্তুত ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের তত্তাবধায়ক ডা. নাদিরুল আজিজ জানান, ইতিমধ্যে আমরা একটি আলাদা ওয়ার্ড করেছি। যেখানে সধারণ রোগীদের কোন প্রবেশ থাকবেনা। বিশেষ ট্রেনিং প্রাপ্ত নার্সরাই কেবল সে ওয়ার্ডে থাকবে। সেই সাথে সকল ধরনের সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন