বাগেরহাটের মোংলায় যন্ত্রচালিত নৌকা মাঝি সমবায় সমিতির সভাপতি বাবুলের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতি ও প্রায় অর্ধ কোটি টাকা আত্মাসাতের অভিযোগ উঠেছে। সমিতির সভাপতি মো. বাবুল হোসেন বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছেন ওই সমিতিরই অধিকাংশ সদস্য।
মোংলা উপজেলা প্রশাসনের কাছে সদস্যদের লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, বাবুল হোসেন বাবুলকে ২০১১ সালে মোংলা স্থায়ী ও অস্থায়ী বন্দর পারাপার যন্ত্রচালিত নৌকা মাঝি সমবায় সমিতির সভাপতি করা হয়। ক্ষমতা পেয়ে ওই সুযোগেই বেপরোয়া দুর্নীতি ও অনিয়ম করে বাবুল সমিতির প্রায় অর্ধ কোটি (৫৯ লাখ ৪১ হাজার) টাকা আত্মসাৎ করে। তার বিরুদ্ধে সমিতির ঘর ভাড়া বাবদ ৩ লাখ ৭৫ হাজার, সমিতির বাকী ৫ রুম ভাড়া বাবদ ৪ লাখ ৩২ হাজার, ৭টি ট্রলার থেকে ৭২ মাসে ১৫ লাখ ১২ হাজার, ৭০ জন সদস্যদের সঞ্চয় আদায় বাবদ ৭ লাখ ৫৬ হাজার, সদস্যদের কাছ থেকে জোর পূর্বক জরিমানা আদায় বাবদ ৩ লাখ, বিদ্যুৎ বিল বাবদ ভাড়াটিয়া থেকে আদায় করা ৩০ হাজার, সদস্যদের কাছ থেকে আদায় পৌর ঘাট ডাক বাবদ ২০ লাখ, সমিতির এক সাবেক নেতার কাছ থেকে চেকের মাধ্যমে নেওয়া ৩৬ হাজার এবং পৌরসভার ঘাট ইজারা বাতিলের জন্য সদস্যদের কাছ থেকে আদায় ৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনেন সমিতির সদস্যরা।
মোংলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রাহাত মান্নান বলেন, মোংলায় যন্ত্রচালিত নৌকা মাঝি সমবায় সমিতির সভাপতি বাবুলের বিরুদ্ধে মোংলায় যন্ত্রচালিত নৌকা মাঝি সমবায় সমিতির সদস্যদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বাবুলের বিরুদ্ধে বাগেরহাট জেলা সমবায় কর্মকর্তার কাছে ৮৪ ধারায় তহবিল তছরুপের বিষয়টি তদন্ত করার জন্যও আবেদন করেছে মোংলায় যন্ত্রচালিত নৌকা মাঝি সমবায় সমিতির সদস্যরা।
অর্থ আত্মসাৎতের বিষয়ে মোংলা স্থায়ী ও অস্থায়ী বন্দরের মধ্যে নদী পারাপার যন্ত্রচালিত নৌকা মাঝি সমবায় সমিতির সভাপতি মো. বাবুল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে, মোবাইলে এ বিষয়ে কথা বলবেন না জানিয়ে ফোনটি কেটে দেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল