পিরোজপুরের নেছারাবাদের খারাবাদ সমদ্দার বাড়ি এলাকায় চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্রী ধর্ষিত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার বিকেলে প্রতিবেশীর ধর্ষণে গুরুতর অসুস্থ ওই ছাত্রীকে রাতেই বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। অপরদিকে অভিযুক্ত ধর্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন পিরোজপুর জেলা পুলিশ কর্মকর্তারা।
নির্যাতিতা ওই শিশু স্থানীয় খারাবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। বাবা দিনমজুরের কাজ করেন। গত শুক্রবার বিকেলে প্রতিবেশী আশরাফ আলী (৩২) ওই শিশুকে তার ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে সন্ধ্যায় তাকে নেছারাবাদ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে স্বজনরা। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় তাকে শেরে-ই বাংলা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষকের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ধর্ষিতা শিশুর মা-বাবাসহ স্বজনরা।
হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. মো. আশরাফুল ইসলাম জানান, ধর্ষণের শিকার শিশুটির অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় ওই রাতেই তাকে গাইনী ওয়ার্ডে প্রেরণ করা হয়। সেখানে তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা চলছে।
এদিকে শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়নি, ধর্ষণের চেষ্টা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পিরোজপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাইনুল হাসান। এ ঘটনায় ওই শিশুর বাবার একমাত্র অভিযুক্ত আশরাফ আলীকে আসামি করে নেছারাবাদ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার আসামিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাইনুল হাসান।
এদিকে অভিযুক্ত ধর্ষক র্যাব-৮’র হাতে আটক হয়েছে। শনিবার দুপুরে তাকে নেছারাবাদ উপজেলা সদর থেকে আটক করা হয় বলে বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে র্যাব-৮। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে নেছারাবাদ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে র্যাব জানিয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল