সাগরপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় পাচারের চেষ্টাকালে কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্টমার্টিনে ট্রলারডুবিতে রোহিঙ্গা হতাহতের ঘটনায় ১৯ দালালের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে টেকনাফ থানার সেন্টমার্টিন কোস্টগার্ডের কন্টিজেন্ট কমান্ডার এম এস ইসলাম বাদী হয়ে মামলটি করেন।
এছাড়া, উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ট্রলার ডুবির ঘটনায় এখন পর্য়ন্ত আট দালালকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন টেকনাফের নোয়াখালীপাড়ার হাসান আলীর ছেলে সৈয়দ আলম (২৮), আব্দুন ছালামের ছেলে মো. আব্দুল আজিজ (৩০), রশিদ আহম্মদের ছেলে মো. করিম (৪৯), উলা মিয়ার ছেলে ফয়েজ আহম্মদ (৫০), জুম্মা পাড়ার মো. আজমের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২০), মমতাজ মিয়ার ছেলে মো. রফিক(২৬), রাজার পাড়ার মোস্তাক আহম্মদের ছেলে হুমায়ুন কবির (২০) ও উখিয়ার বালুখালী ১০ নম্বর ক্যাম্পের কবির হোসেনের ছেলে মো. ওসমান।
টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানান, ভিকটিমদের স্বীকারোক্তি মতে ১৯ দালালের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার রাতে টেকনাফ থানায় মামলা করা হয়েছে। এদের মধ্যে চারজন আগেই আটক ছিল। এছাড়া মঙ্গলবার রাতে বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে আরও চার দালালকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত দালালদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি জানান।
এদিকে, নিখোঁজ ব্যক্তিদের খুঁজতে বুধবার দ্বিতীয় দিনের মতো সেন্টমার্টিন সাগরে উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ কোস্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার লে. সোহেল রানা।
প্রসঙ্গত, সাগরপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার সময় কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্টমার্টিন এলাকায় মঙ্গলবার ভোরে পাথরের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একটি ট্রলার ডুবে যায়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৫ মরদেহ এবং ৭২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব