বাংলাদেশ প্রতিদিনের অনলাইন সংস্করণে সংবাদ প্রকাশের পর টনক নড়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খায়রুল আলম সুমনের। বুধবার সকাল ৯টা থেকেই খোলা হয়েছে গতকাল পর্যন্ত বন্ধ থাকা তার কক্ষের দুটি দরজা।
এর আগে, গত মঙ্গলবার 'দরজা বন্ধ রেখে অফিস করেন ইউএনও' শীর্ষক এমন সংবাদ প্রকাশিত হয় বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায়।
প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, জনসেবার জন্য প্রশাসন প্রতিপাদ্যে দেশের বিভিন্ন উপজেলার নির্বাহী অফিসারগণ নিজেদের দপ্তর জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সুনাম অর্জনের পাশাপাশি জনসাধারণের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে অনেকে। সেখানে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চিত্র উল্টো।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার নির্বাহী অফিসার খায়রুল আলম সুমন দরজা বন্ধ করে পালন করছিলেন তার দাপ্তরিক কার্যক্রম। মঙ্গলবার দুপুর ১টার সংবাদ সংগ্রহের কাজে প্রতিবেদক এমন দৃশ্য ক্যামেরা ধারণ করে বাংলাদেশ প্রতিদিনে তার খবর তুলে ধরেন।
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে প্রশ্নফাঁস এবং নকল সরবরাহের সময় পুলিশের হাতে নাতে বালিয়াডাঙ্গী চৌরাস্তার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে ৩ জন আটকের সংবাদ কাভারেজ করতে উপজেলা পরিষদে হাজির হয়েছিলেন এই প্রতিবেদক।
তবে দরজা খুললেও এ বিষয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি ইউএনও খায়রুল আলম সুমন।
এর আগে গতকাল অফিসের স্টাফদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় ৩ মাস ধরে ইউএনও’র ঘরে প্রবেশের দরজা বন্ধ দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। প্রবেশের দরজা হিসেবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তার ২০২নং কক্ষের ভিতরে একটি গোপন দরজার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ওই দরজা দিয়ে ইউএনও’র কক্ষে প্রবেশ করে দাপ্তরিক কাজে আসা লোকজন ইউএনও’র সাথে দেখা করছিল। সংবাদ প্রকাশের পর এখন মূল দরজা দিয়েই ইউএনও’র সাথে দেখা করছে দাপ্তরিক কাজে আসা লোকজন।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব