কক্সবাজারের পেকুয়ায় বিয়ের তিন দিনের মাথায় ডাকাতের গুলিতে প্রবাসী যুবক মোহাম্মদ নুরুন্নবী (২৭) নিহত হয়েছেন। ঘটনার ১৪ ঘণ্টা পর স্থানীয় জনতার গণধোলাইয়ে দুই ডাকাত মৃত্যু হয়েছে। এসময় গণধোলাইয়ে গুরুতর আহত হয় আরও এক ডাকাত। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ডাকাতির ঘটনা ঘটার পর বুধবার সকাল ১০টার দিকে শিলখালী ইউনিয়নের জারুলবনিয়া সাপেরগারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত প্রবাসী যুবক নুরুন্নবী শিলখালী ইউনিয়নের সাপেরগারা এলাকার হাসান শরীফের ছেলে। নিহত ডাকাত জামাল হোসেন (৩৫) ওই এলাকার মো. আলমগীরের ছেলে ও মো. কাউসার (২৫) নাজিম উদ্দিনের ছেলে। আহত অপর ডাকাত বারবাকিয়া ইউনিয়নের পাহাড়িয়াখালী গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে নাছির হোসাইন (২৭)।
খবর পেয়ে পেকুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত ডাকাত নাছিরকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
স্থানীয় লোকজন জানায়, শিলখালী ইউনিয়নের হাসান শরীফের ছেলে নুরুন্নবী সম্প্রতি মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরে গত ৯ ফেব্রুয়ারি বিয়ে করেন। বিয়ের তিনদিন পর মঙ্গলবার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। রাত ৮টার দিকে অতর্কিত ১০-১২জন সশস্ত্র ডাকাত দল ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে পরিবারের সবাইকে জিম্মি করে। এসময় নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ডাকাতদল প্রধমে নুরুন্নবীর পেটে ছুরিকাঘাত করে। পরে গুলি করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে। এসময় বাধা দিতে গেলে তার মা হাজেরা বেগম ও ছোট ভাই মোজাম্মেল হককে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।
পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কামরুল আজম বলেন, মঙ্গলবার রাতে ডাকাতের গুলিতে নিহত নুরুন্নবীর মরদেহ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বুধবার সকালে জনতার হাতে গণধোলাইয়ের শিকার ডাকাত জামাল হোসেন ও কাউসারের মৃত্যু হয়েছে। পরে পুলিশ আহত একজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। দু’টি ঘটনায় ডাকাতি ও হত্যা মামলা হবে বলেও এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক