বাগেরহাটের শরণখোলায় আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ২২টি দোকান। সোমবার গভীররাতে উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের সুন্দরবন সংলগ্ন চালিতাবুনিয়া বাজারে ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জ উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ভোর সাড়ে চারটা থেকে আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মঙ্গলবার সকালে উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রাহিমা আক্তার হাসি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজমল হোসেন মুক্তা, ভাইস চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান পারভেজ, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রনজিৎ সরকার, সাউথখালী ইউপির চেয়ারম্যান মো. মোজাম্মেল হোসেন ও রায়েন্দা ইউপির চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিলন ক্ষতিগ্রস্ত বাজারটি পরিদর্শন করেছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের মধ্যে জামাল মুন্সি জানান, বাজারে যখন আগুন লাগে তখন বিদ্যুৎ ছিল না। শত্রুতাবশত কেউ বাজারে আগুন লাগিয়েছে। তার মুদি দোকানের সমস্ত মালামাল পুড়ে গেছে। প্রত্যেক ব্যবসায়ীই এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগুনে বাজারটি একেবারে শেষ হয়ে গেছে।
সাউথখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোজাম্মেল হোসেন জানান, বাজারের অর্ধেকের বেশি দোকান পুড়ে গেছে। দোকান ঘর, সমস্ত মালামাল পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রস্তুত করে সরকারি সহায়তার জন্য উপজেলায় পাঠানো হবে।
শরণখোলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ মো. মেশফাকুল আলম জানান, তারা ভোর চারটার দিকে আগুনের খবর পান। শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটের ২০জন ফায়ার কর্মী স্থানীয়দের সহায়তায় প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরদার মোস্তফা শাহিন বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে যা দেখলাম, তাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান দুই কোটির কম হবে না। উপজেলা পরিষদের তহবিল থেকে প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের কিছু আর্থিক সাহায্য দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া দ্রুত ব্যবসায়ীদের তালিকা জেলা পরিষদ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হবে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক