কোয়েল পাখি পালন করে সাফল্য পেয়েছেন নাটোরের লালপুর উপজেলার গৌরিপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী গৃহবধু লতিফা বেগম। লতিফা জানান, অভাবের সংসারে ২ ছেলের লেখাপড়ার খরচ ও সংসার খরচ যোগাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন তিনি। সহজ শর্তে ঋণ পেতে একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার খোঁজ পেয়ে তাদের পরামর্শে কোয়েল পাখি পালনের প্রাথমিক ধারণা নিয়ে কাজ শুরু করেন।
প্রথমে ঋণ নিয়ে এক হাজার কোয়েল পাখির বাচ্চা কিনে খামার শুরু করেন। কিছু দিন পরে কোয়েল পাখি ডিম দিতে শুরু করে। ডিম বিক্রি করে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করে সামান্য টাকা জমা করেন। বর্তমানে তিনি প্রতিদিন ৩/৪ হাজার টাকার ডিম বিক্রি করছেন। এখন তার আর কোনো অভাব নেই। দুই ছেলে পড়াশোনা করছে।
লতিফা বেগম বলেন, আমার অভাব-অনটনের সংসার ছিল। এই কঠিন সময়ে কোয়েল পাখি পালন শুরু করি। এখন আমি সুখের স্বপ্ন দেখছি।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন