পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় রাতের আঁধারে অন্তত শতাধিক ম্যানগ্রোভ প্রজাতির গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। স্থানীয় প্রভাবশালী একটি চক্র শুক্রবার রাতে উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের চান্দুপাড়া গ্রামের বেড়িবাঁধের বাইরের গোলপাতা, কেওড়া ও ছইলা গাছ কেটে মাটি চাপা দেয়। জলোচ্ছ্বাসের কবল থেকে মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষার সবুজ দেয়াল হিসেবে চিহিৃত এসব গাছের নষ্ট করায় সবাই হতবাক।
খবর পেয়ে বন বিভাগের দুই কর্মী শনিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে স্থাণীয় আব্দুল রব শিকদার, রুহুল আমিন ও মতি শিকদার তার একটি ভেকু দিয়ে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের বাইরে বনবিভাগের ওইসব ম্যানগ্রোভ প্রজাতির গাছ ধ্বংস করে। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য মাসুদ হাওলাদার কলাপাড়া থানা পুলিশকে জানান। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে ততক্ষণে স্থানীয় ওই চক্র পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে আব্দুল রব শিকদার বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে ওই জায়গায় চিংড়ি চাষ করতাম। আর স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিসে ওই জায়গার জন্য অবেদন করা হয়েছে। ভেকু দিয়ে মাটি কাটার সময় কিছু গোল পাতা নষ্ট হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মাসুদ হাওলাদার জানান, রাতের আধারে ভেকু দিয়ে গাছগুলো নষ্ট করে ফেলছে। বিষয়টি দেখে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তারা পালিয়ে যায়।
লালুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শওকত হোসেন বিশ্বাস তপন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, চৌকিদার ও স্থানীয় ইউপি সদস্যকে সংশ্লিষ্টদের কাছে জানাতে বলেছি।
মহিপুর রেঞ্জ’র বিট অফিসার মো. হুমায়ন কবির জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দু’জন স্টাফ পাঠিয়েছি। এ বিষয়ে রেঞ্জ অফিসারকে জানিয়েছি। মহিপুর রেঞ্জ অফিসার আবুল কালাম আজাদ জানান, এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয় হবে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক