বাগেরহাট শহরের দাশপাড়া মোড়ে আজ শুক্রবার ভোরে উন্মুক্ত স্থানে হতদরিদ্র এক কৃষকের গর্ভবতী স্ত্রী নিপা মন্ডল (২৪) শিশু কন্যা প্রসব করেছেন। এই অবস্থা দেখতে পেয়ে এক ব্যক্তি ৯৯৯ নম্বরের জরুরি সেবায় মোবাইল করলেই ছুটে এসে কন্যাসহ প্রসূতি মাকে পাশের মুক্তি ক্লিনিকে ভর্তি করেছে পুলিশ। বর্তমানে মা ও শিশু উভয়ই এখন সুস্থ আছেনে বলে জানিয়েছেন ক্লিনিক কর্র্তৃপক্ষ।
বর্তমানে চিতলমারী উপজেলায় বোরো ধান কাটায় ব্যস্ত থাকা মোরেলগঞ্জ উপজেলার লক্ষীখালি গ্রামের হতদরিদ্র কৃষক অমৃত মন্ডল। এই অবস্থায় তার গ্রামের বাড়ি লক্ষীখালিতে থাকা সন্তান সম্ভবা স্ত্রী নিপা মন্ডলের প্রসব বেদনা উঠে মধ্যরাতে। তখন চিকিৎসার জন্য তাকে লক্ষীখালি গ্রাম থেকে পরিবারের মেয়ে সদস্যরা একটি রিকশাভ্যানে করে বাগেরহাটের উদ্যোশে রওনা দেন।
বাগেরহাট শহরের দাশপাড়া মোড়ে মুক্তি ক্লিনিকের কাছে এসেই রাস্তার উপর বাচ্চা প্রসব করেন ওই মা। তখন রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলা এক ব্যক্তি বিষয়টি দেখতে পেয়ে জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে মোবাইল করেন। ৯৯৯ থেকে বিষয়টি বাগেরহাট মডেল থানা পুলিশকে জানানো হলে গাড়ি নিয়ে ছুটে আসে পুলিশ। পুলিশ এসে কন্যাসহ প্রসূতি মাকে পাশের মুক্তি ক্লিনিকে নিয়ে ভর্তি করে দেয়। মুক্তি ক্লিনিকের মালিক ডা. এস কে কাইউম জানান, মা ও শিশু উভয়ই এখন সুস্থ আছেন। কোন অর্থ ছাড়াই এই কন্যাসহ প্রসূতি মাকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বাগেরহাট সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহাতাব উদ্দিন জানান, ভোরে পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯ থেকে ফোনে আমাদের জানানো হয় শহরের দাশপাড়া মোড়ে উন্মুক্ত স্থানে এক গর্ভবতী মা বাচ্চা প্রসব করেছেন। ফোন পেয়েই আমরা শিশুসহ মাকে রাস্তা থেকে তুলে নিযে স্বাস্থ্য সেবা দিতে মুক্তি ক্লিনিকে ভর্তি করি। পরে বাচ্চার মায়ের স্বাস্থ্য সেবার জন্য কিছু পুষ্টিকর ফল ও বাচ্চার চিকিৎসার জন্য সামান্য আর্থিক অনুদানও দেওয়া হয়। সদ্য ভূমিষ্ট হওয়া শিশুর বাবা কৃষক অমৃত মন্ডল অন্যের জমিতে ধান কাটার জন্য বর্তমানে চিতলমারী উপজেলায় অবস্থান করছেন। বাবা হওয়ার বিষয়টি তিনি এখনো জানতে পারেনি।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন