ঢাকার ধামরাইয়ের প্রায় ৩০ একর জমির ধান পুড়ে গেছে ইটভাটার গরম হাওয়ায়। এতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে কৃষকরা। পরিবার পরিজন নিয়ে সারা বছরের খাবার জুটে তাদের এ ধান থেকে। কিন্তু এ বছর ধান পুড়ে যাওয়ায় পুরো পরিবারের স্বপ্নটাই পুড়ে গেছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন কৃষকরা। এ ধান ফলাতে যে পরিমান টাকা লোন হয়েছে তা পরিশোধ করা হবে কি করে তা নিয়েই দুচিন্তায় পড়েছে তারা। কৃষকরা ইটভাটার মালিকদের কাছে ক্ষতিপূরণ চান তারা।
জানা গেছে, ঢাকার ধামরাইয়ে প্রায় দুই শতাধিক ইটভাটা রয়েছে। প্রতি বছরই কমবেশি ইটভাটার আগুন নিভানোর সময় অসাবধানতার কারণে গরম হাওয়া বের হয়। এ বছরও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। ধামরাইয়ের নান্দেশ্বরী সুমরা ও সুতিপাড়া ইউনিয়নের নওগাঁও সোহাগ ইটভাটার গরম হাওয়ায় পুড়ে গেছে অনেক কৃষককের কষ্টে ফলানো ইরি ধান। এখন ইটভাটার মালিকদের কাছে গিয়েও পাত্তা পাচ্ছেন না কৃষকরা।
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা জানান, সন্তানের মত লালন পালন করে একটি স্বপ্ন নিয়ে অনেক কষ্টের বিনিময়ে আমরা বছরে একবার এ ধান ফলাই। কিন্তু ইটভাটার গরম হাওয়ায আমাদের সেই স্বপ্নকে ধুলিস্যাৎ করে দিল। আমরা এ ক্ষতিপূরণ দাবি করছি।
সুতিপাড়া ইউনিয়নের নওগাও এসবিআই ইটভাটার মালিক সোহাগ হোসেন তার ভাটার গরম হাওয়ায় স্থানীয় কৃষকদের ধান পুড়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
ধামরাইয়ের নান্দেশ্বরী সুরমা ইটভাটার মালিক আব্দুল কাদের জানান, ইটভাটার গরম হাওয়ায় ধান পুড়েছে ঠিকই। এখন কি করব। কৃষি অফিসার এসে ইটভাটা বন্ধ করে দিক। আমার আর কিছুই করার নেই।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফ হোসেন জানান, কৃষকদের অভিযোগ পেয়ে সরজমিন তদন্ত করে ইটভাটার গরম হাওয়ায় ধান পুড়ে যাওয়ার ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। এখন কৃষকদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন