বিশ্ব মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়েই চলেছে। কোনোভাবেই যেন আক্রান্তের সংখ্যা কমানো যাচ্ছে না। বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাস পজেটিভ সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বাড়ছে। আর এ জন্য সরকার বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে যাচ্ছেন। তারই ধারাবাহিকতায় গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা সীমান্তে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। অন্য উপজেলার মানুষ কাপাসিয়ায় প্রবেশ ও বাহির না হতে এমন উদ্যোগ নিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা: ইসমত আরা।
আজ সকাল থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত সীমান্ত গাজীপুর রোডের চামুরখী মোড়, কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের সূর্য্যনারায়নপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১০ জনের বিরুদ্ধে ১০টি মামলা করে বিভিন্ন অংকের জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জানা যায়, গাজীপুরে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, সাংবাদিকসহ সর্বশেষ ৬১৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। জেলায় নতুন করে ৫ জন আক্রান্ত হয়েছে। বুধবার দুপুরে গাজীপুর সিভিল সার্জনের একটি ফেসবুক আইডিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
সূত্রে জানা গেছে, জেলার গাজীপুর সদর উপজেলায় ২ জন, কালিয়াকৈর উপজেলায় ১ জন, কালীগঞ্জ উপজেলায় ২ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ পর্যন্ত নমুনা পাঠানো হয়েছে ৬৭৯৮ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন পাঠানো হয়েছিল ৩০৯ জনের।
জেলার মধ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে কাপাসিয়া তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। ফলে উপজেলার বাইরে থেকে লোকজনের আসা যাওয়া ও যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে সংক্রমণের ঝুকি কিছুটা কমবে।
পবিত্র ঈদ উল ফিতরকে সামনে রেখে বাইরের জেলা বা উপজেলা থেকে যাতে কেউ কাপাসিয়া আসা যাওয়া করতে না পারে সেজন্য উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন যৌথভাবে অভিযান ও টহল জোরদার করেছে। যাতে করে মানুষ অন্য উপজেলা থেকে আসতে এবং যেতে না পারে সে জন্য উপজেলার প্রতিটি প্রবেশ পথে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা: ইসমত আরা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, শত চেষ্টা করেও সাধারণ মানুষদের ঘরে রাখা যাচ্ছে না। মরণব্যাধী করোনা ভাইরাস যেন কিছুই না। বিশেষ করে ঈদ বাজারে মহিলারা ভিড় করছে বেশি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল