দিনাজপুরে খুচরা ও পাইকারীতে ঊর্ধ্বমুখী চালের বাজার, সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ৩ থেকে ৪ টাকা বেড়েছে। করোনা মহামারীর এই সময়ে হঠাৎ করে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষ।
এদিকে, ধানের দাম বাড়ায় মিল মালিকরা চালের দাম বাড়িয়েছেন বলে জানান চাল ব্যবসায়ীরা।
অপরদিকে, মিল মালিক এবং ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে চালের দাম বৃদ্ধি করছে কি না সেটি খতিয়ে দেখাসহ বাজার মনিটরিং এর জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছে সাধারণ ক্রেতারা।
দেখা যায়, দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর এলাকায় প্রকারভেদে কেজিতে ৩ থেকে ৪ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে এসব চাল। বি-আর-২৯ জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকা, বি-আর-২৮ জাতের চাল ৪৪ টাকা, মিনিকেট চাল ৪৮ টাকা এবং সম্পা কাটারী রাইস মিলে চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকা কেজি দরে।
হাকিমপুরের হিলি বাজারের পাইকারী চাল ব্যবসায়ী স্বপন জানান, বাজারে ধানের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় মিল মালিকদের কাছ থেকে বেশি দামে চাল কিনতে হচ্ছে। আর বেশি দামে চাল কিনে বিক্রি করতে হচ্ছে বেশি দামে। এখানে আমাদের সিন্ডিকেট করার কোনো সুযোগ নেই।
চাল কিনতে আসা কয়েকজন ক্রেতা বলেন, করোনা মহামারীর কারণে এমনি থেকে আয় কমেছে গেছে, কষ্টে জীবন-যাপন করছে তারা। এদিকে হঠাৎ করে বাজারে চালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় চাল কিনতে এসে সমস্যার মধ্যে পড়ে গেছি।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম