দেশজুড়ে যখন করোনা আতঙ্ক বিরাজ করছে, গাজীপুরের কালিয়াকৈরে তখন ঘুড়ি উৎসবে মেতে উঠেছেন নানা বয়সী মানুষ। শিশু-তরুণ-যুবক এমনকি মাঝ বয়সীরাও বাদ যায়নি এই ঘুড়ি উড়ানো থেকে। দিন-রাত আকাশে শোভা পাচ্ছে নানা রঙের ঘুড়ি। বিশেষ করে রাতের আকাশে এসব ঝলমলে ঘুড়ি দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন এলাকার মানুষ।
সরজমিনে দেখা যায়, কালিয়াকৈর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় করোনার ভয় উপেক্ষা করেই দিন-রাত ছোট-বড় নানা বয়সী ঘুড়ি প্রেমী মেতেছেন এই ঘুড়ি উৎসবে। সকাল-বিকাল বাড়ির ছাদে, খোলা মাঠে, খালি জায়গায় ঘুড়ি উড়াতে দেখা যায়। করোনাকালে কিশোর-যুবকদের বাড়িতে রাখতে অনেক অভিবাবকই ঘুড়ি বানিয়ে বা বাজার থেকে কিনে এনে দেন। উপজেলায় অনেকেই ঘুড়ি বানানোর ব্যবসা করছেন। ঘুড়ি বাজারে বিক্রি করে তাদের সংসার চালাচ্ছেন। বর্তমানে চাহিদা বাড়ায় ৩০০ থেকে ১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এসব ঘুড়ি। প্রতিদিন আকাশে দিন হতে রাত পর্যন্ত উড়তে দেখা যায় এসব রং বেরঙের ঘুড়ি।
নাছিম কবির রনি জানান, লকডাউনে বাইরে না যেতে পেরে ঘুড়ি উড়িয়ে আনন্দ পাই। তাই ঘুড়ি উড়ানোর কাজে ব্যস্ত থাকি। আকাশে ঘুড়ি উড়াতে অনেক ভাল লাগে।
কালিয়াকৈর বাজারের রাজু মোল্লা ভ্যারাইটিজ স্টোরের মালিক রাজু মোল্লা জানান, আমি মূলত গণপরিবহনের শ্রমিক। করোনাকালে যানবাহনের যাত্রী তেমন না থাকায় আর্থিক সংকটে পড়েছি। সেজন্য এখন ঘুড়ির ব্যবসা করছি। ৯০ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে এই ঘুড়ির ব্যবসা শুরু করি।
তিনি বলেন, লকডাউনে শিশু-কিশোরদের জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে ঘুড়ি সংগ্রহ করে বিক্রি করি। অনেকেই আবার তাদের চাহিদা মত ঘুড়ি বানানোর জন্য অর্ডার দিয়ে থাকেন। আমরা তাদের চাহিদা অনুযায়ী ঘুড়ি সরবরাহ করে থাকি। একেক ঘুড়ির দাম একেক রকম হয়ে থাকে। এসব ঘুড়ি ৩০০ থেকে ১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে । এতে করে প্রতিদিন কমপক্ষে ৫ হাজার টাকার ঘুড়ি বিক্রি হয়।
বিডি প্রতিদিন/কালাম