নাটোরের লালপুর উপজেলার বিলমাড়ীয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসা হতদরিদ্র রোগীদের মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ঝুঁকিতে পড়েছেন এলাকাবাসী। বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ বলছে, তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জানা যায়, লালপুর উপজেলার পদ্মা নদীর তীরবর্তী এলাকায় সবচেয়ে দরিদ্র মানুষের বসবাস। তারা নদীতে ও বিভিন্ন জলাশয়ে মাছ শিকার ও বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। অন্য সময় মানুষের বাড়িতে দিনমজুর হিসেবে কাজ করেন। এ সকল মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা শোচনীয় হওয়ায় চিকিৎসার জন্য তারা স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিকের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু কমিউনিটি ক্লিনিকে ডাক্তাররা নিয়মিত আসেন না আর যেদিন আসেন সেদিন সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত চিকিৎসা দিয়ে চলে যান এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।
চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা জানান, সোমবার তারা চিকিৎসা ও ওষুধ নিয়ে যাওয়ার সময় কিছু সচেতন রোগী দেখতে পান, ওষুধের গায়ে লেখা মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। পরে জানতে চাইলে কর্তব্যরত ডাক্তার জানান, তিনি খেয়াল করেননি।
স্থানীয় অধিবাসী বেলাল জানান, তার চাচাতো ভাইকে যে ওষুধ দেয়া হয়, তার মেয়াদ গত মাসেই শেষ হয়েছে। অন্য যারা এমন মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ পেয়েছেন তা খেলে তারা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে পারেন এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
জানতে চাইলে কর্তব্যরত উপ-সহকারি মেডিকেল অফিসার হারুন উর রশিদ জানান, অফিস সহকারি ওষুধ দিয়েছেন। স¤প্রতি তারা ওষুধগুলো পেয়েছেন। ওষুধগুলো দেয়ার সময় খেয়াল না করায় এমন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে।
লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টির তদন্ত চলছে। সিভিল সার্জন এমন ঘটনাকে দুঃখজনক ও অপ্রত্যাশিত দাবি করে বলেন, তদন্তের পর সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন