যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বেড়েই চলছে। পানি বাড়ায় পানিবন্দী মানুষেরও দুর্ভোগ ক্রমেই বাড়ছে। পানিবন্দী হয়ে দুর্বিসহ অবস্থায় জীবনযাপন করছে হাজার হাজার মানুষ। ঘরে-বাইরে পানিতে টুইটুম্বর। কোথাও আশ্রয় নেয়ার জায়গা না থাকায় ঘরের মধ্যে চৌকি উচু করে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
রান্নাঘর তলিয়ে যাওয়ায় ঠিকমতো খাওয়া করা হচ্ছে না। শুকনো ও শিশু খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। গো-খাদ্যেরও সংকট দেখা দিতে শুরু করেছে। অনেকে ওয়াপদা বাঁধে আশ্রয় নিয়ে গরু-ছাগলের সাথে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। করোনার মধ্যে কর্ম না থাকায় বন্যা যেন মরার উপর খরার ঘা হিসেবে দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, বর্তমানে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ৪০ সে. মি. উপর দিয়েছে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলার ৩০টি ইউনিয়ন অধিকাংশ ফসলি জমি ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। এছাড়াও আভ্যন্তরীন নদী করতোয়া ও ফুলজোড় নদীর পানি ফুলেফেপে ওঠায় বিস্তীর্র্ণ অঞ্চল তলিয়ে গেছে। এতে হাজার হাজার মানুষ বন্দী হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। অন্যদিকে, পানি বাড়ার সাথে সাথে চৌহালী ও এনায়েতপুরে ব্যাপক ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ভাঙ্গনে প্রতিদিন বিলীন হচ্ছে বসতভিটাসহ ফসলি জমি। নিঃস্ব হয়ে পড়ছে মানুষজন। তবে এখন পর্যন্ত ভাঙ্গন কবলিত ও বন্যা কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি প্রশাসন বা জনপ্রতিনিধিরা।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। আরো দুএকদিন পানি বাড়বে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন