১০ জুলাই, ২০২০ ১৯:০৩

কুড়িগ্রামে আবারও সব নদ-নদীর পানি বাড়ছে, বন্যার আশংকা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামে আবারও সব নদ-নদীর পানি বাড়ছে, বন্যার আশংকা

ফাইল ছবি

কুড়িগ্রামে গত তিন দিন যাবত সবকটি নদ-নদীর পানি দ্রুত কমে বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নতি হচ্ছিল। এমতাবস্থায় বৃহস্পতিবার থেকে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলাসহ সবকটি নদ-নদীর পানি আবারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

আগামী তিন দিন পর্যন্ত অবিরাম বৃষ্টিপাত ও উজানের পানিতে আরও নদ-নদীর পানি বাড়বে এবং বন্যা পরিস্থিতির আশংকা করা হচ্ছে। 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ধরলা নদীর পানি দ্রুত বেড়ে বিপদসীমার মাত্র ২৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী ও নুনখাওয়া পয়েন্টেও পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে জেলায় আবারও ২য় দফা বন্যার আশংকা করা হচ্ছে। 

জেলার রাজারহাট উপজেলার কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, গত দুই দিনে জেলায় ৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ বৃষ্টিপাত আরও বাড়তে পারে বলে তিনি  জানান। বৃষ্টির সাথে বজ্রপাতের সম্ভাবনাও অনেক বেশি বলে এ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

এদিকে, অবিরাম বৃষ্টি ও উজানের পানির ঢলে আবারও জেলার নিম্নাঞ্চলসমুহ প্লাবিত হচ্ছে। বন্যায় পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে বাঁধে আশ্রয় নেয়া বানভাসিদের অনেকেই বাড়ি ফিরতে শুরু করে।কিন্তু এখনও ঘরবাড়িতে ওঠার পরিবেশ তৈরি হয়নি বলে জানায় বানভাসিরা। বানভাসিদের দুর্ভোগ ক্রমেই বেড়েই চলেছে। প্রথম দফা বন্যা শেষ হতে না হতেই ২য় দফা বন্যার আশংকায় নদ-নদী তীরের মানুষজন। অনেকে আবারও বন্যার আশংকায় বাড়িঘর মেরামত না করে বাঁধেই অবস্থান নিতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ঘটে যাওয়া বন্যায় ডায়রিয়াসহ নানা পানিবাহিত রোগে অনেকেই ভুগছেন। চিকিৎসা সংকটসহ খাদ্য সংকটে থাকা বানভাসিদের অনেকেই ত্রাণ সহায়তা না পেয়ে ক্ষোভ জাানিয়েছেন।
২য় দফা বন্যা সৃষ্টি হলে কুড়িগ্রামের নদ-নদী তীরবর্তী লক্ষাধিক মানুষ মারাত্মক সংকটে পড়বেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। 

২য় দফা বন্যার প্রস্ততি নিয়ে জেলা প্রশাসক রেজাউল করিম জানান, প্রথম দফা বন্যা মোকাবেলায় সরকারের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা দেয়া হয়। ২য় দফা বন্যায় আগামীকাল সকল ইউএনওদের নিয়ে সভা করে পরবর্তী নির্দেশনা দেয়া হবে। ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত থাকবে কোনো অসুবিধা হবে না বলে তিনি জানান।


বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর