শরীয়তপুরের বন্যার পানি কমতে শুরু করেলে দুর্ভোগ কমেনি জেলার মানুষের। এ বছর করোনা, বন্যা, ভাঙন মোকাবিলা করতে হচ্ছে শরীয়তপুর জেলার মানুষের। এ কারণে দিশেহারা হয়ে মানবেতর জীবন পার করছে জেলার বন্যা ও ভাঙন কবলিকত মানুষ। এ বছর ঈদের আনন্দ তো দূরের কথা এক বেলা খাবার জুটলে ও আরেক বেলা খাবার জোটেনা ভাঙন ও বন্যা কবলিতদের। সরকারি ত্রাণ সামগ্রী দিলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারে অপ্রতুল।
শরীয়তপুরে পদ্মা নদীর পানি ৩ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সেই সাথে নদীতে বেড়েছে পানির স্রোত। এখনো ৪ উপজেলার ৪৬টি ইউনিয়নের প্রায় ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দী। পদ্মা নদীর পানি কিছুটা কমলেও প্লাবিত এলাকাগুলোর পানি তেমন কমেনি এবং পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বানভাসি মানুষ। ইতিমধ্যে চরম খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে বন্যা কবলিত মানুষের মাঝে। বানভাসি এসব মানুষ অতি কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। তবে জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের ভাঙন ও বন্যা কবলিতদের দেখতে যায়নি। এ ব্যাপারে বানভাসি মানুষর মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এদিকে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীমের নির্দেশে পদ্মা তীরবর্তি নড়িয়া-সখিপুরের প্রতিনিধি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় পানিবন্দি, বন্যা কবলিত বানভাসি মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করছে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা। মানবতার পাশে দাঁড়ানোর জন্য ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সাধুবাদ জানিয়েছেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী।বিডি প্রতিদিন/আল আমীন