ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। মহাসড়কের কুমিল্লার বিভিন্ন অংশে বসেছে ফুলের মেলা। সাদা, লাল, হলুদ নানা রঙের ফুল। শরতের স্নিগ্ধ বাতাসে দুলে উঠে টগর, রাধাচূড়া, কাঞ্চন ও সোনালু ফুল। পরিবহনে বসে এই সৌন্দর্য দেখতে দেখতে যাতায়াত করছেন যাত্রীরা।
সড়ক ও জনপদ সূত্র জানায়, এক পাশের আলো যেন অন্য পাশে এসে দুর্ঘটনা না ঘটায় তাই এই কম উচ্চতার ফুলের গাছ লাগানো হয়েছে। এছাড়া সৌন্দর্য বৃদ্ধি এবং আইল্যান্ড দখল মুক্ত রাখতেও এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
মহাসড়কের চারলেনের প্রজেক্ট ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুম সারোয়ার ও অন্যান্য সূত্র জানায়, কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে চট্টগ্রাম সিটি গেইট পর্যন্ত ১৯২ কিলোমিটার মহাসড়ক। এই মহাসড়কের ১৪৩ কিলোমিটার এলাকায় বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগানো হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে হৈমন্তী, কুর্চি, টগর, রাধাচূড়া, কাঞ্চন, সোনালু, কৃষ্ণচূড়া, কদম, বকুল, পলাশ, করবী, ক্যাসিয়া ও জারুল প্রভৃতি। এরকম ৫৪ হাজার গাছ লাগানো হয়েছে। এইগুলোর উচ্চতা ২মিটার থেকে ৫ মিটার।
এছাড়া সড়ক স্লোপে জলপাই, অর্জুন, কাঁঠাল, মেহগনি, শিশু, আকাশমনি, চালতা, নিম, একাশিয়া, হরিতকিসহ বিভিন্ন প্রজাতির ৪২ হাজার গাছ লাগানো হয়েছে। কুমিল্লার ১০৫ কিলোমিটার মহাসড়কের দাউদকান্দি, চান্দিনা ও বুড়িচং এবং চৌদ্দগ্রামের বিভিন্ন অংশে বেশি ফুল দেখা যায়।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, আমি এই মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াত করি। যেতে যেতে নানা রঙের ফুল চোখে পড়ে। ফুলের রঙে মহাসড়ক বর্ণিল হয়ে উঠেছে। দেখতে ভালোই লাগে। এগুলোর নিয়মিত পরিচর্যা করলে মহাসড়কের এই সৌন্দর্য অটুট থাকবে।
সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী ড.মো. আহাদ উল্লাহ বলেন, চারলেন প্রকল্পের আওতায় ১৪টি বাইপাস, সেতু ও কালভার্ট ছাড়া মহাসড়কের আইল্যন্ডে এসব গাছ লাগানো হয়েছে। গাছগুলোর সুরক্ষায় আমরা নজরদারি করছি।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা